(ফাইল ছবি) সমুদ্রে টহলরত গ্রিক উপকূলরক্ষী বাহিনী৷ ছবি: হেলেনিক কোস্টগার্ড
(ফাইল ছবি) সমুদ্রে টহলরত গ্রিক উপকূলরক্ষী বাহিনী৷ ছবি: হেলেনিক কোস্টগার্ড

গ্রিসের অবকাশযাপন দ্বীপ কসে ‘মানবপাচার করে তুরস্কে ফেরার পথে’ চার সন্দেহভাজন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী৷ আটক করা হয়েছে ‘পাচারের শিকার’ অভিবাসীদেরও৷

গ্রিক কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার তুরস্ক থেকে দুইটি স্পিডবোটে ৪০ জনেরও বেশি অভিবাসীকে চারজন বিদেশি গ্রিসে পাচার করে৷ বার্তা সংস্থা ডিপিএ কর্তৃপক্ষের বরাতে জানিয়েছে, প্রথমে একটি স্পিডবোটে নিয়ে আসা ২০ জনকে দ্বীপে নামিয়ে তুরস্কের দিকে রওনা দেয় দুই সন্দেহভাজন পাচারকারী৷ এসময় তাদের ধাওয়া করে উপকূলরক্ষী বাহিনী৷ ‘বিপজ্জনক কৌশল’ অবলম্বন করে তারা প্রাথমিকভাবে পালাতে সক্ষমও হয়৷ এক পর্যায়ে সতর্কতামূলক গুলি ছুড়তে বাধ্য হয় উপকূলরক্ষী বাহিনী৷ এরপরও তারা পালাতে থাকলে গুলি চালিয়ে স্পিডবোটের ইঞ্জিন নষ্ট করে দেয়৷ পরে যানটিতে থাকা ‘দুই বিদেশিকে’ গ্রেপ্তার করে তারা৷  

গত আগস্টে সমুদ্র থেকে উদ্ধার হওয়া ২৭ অভিবাসীকে কস দ্বীপে নিয়ে আসে গ্রিক উপকূলরক্ষী বাহিনী৷ ছবি: ইপিএ/হেলেনিক কোস্ট গার্ড
গত আগস্টে সমুদ্র থেকে উদ্ধার হওয়া ২৭ অভিবাসীকে কস দ্বীপে নিয়ে আসে গ্রিক উপকূলরক্ষী বাহিনী৷ ছবি: ইপিএ/হেলেনিক কোস্ট গার্ড

দ্বিতীয় ঘটনাতেও অভিবাসীদের দ্বীপে নামিয়ে স্পিডবোটে ফেরার পথে ‘সন্দেহভাজন পাচারকারীদের’ ধাওয়া করে গ্রিক বাহিনী৷ সতর্কতামূলক গুলি ছোড়া হলে দুই আরোহী সমুদ্রে ঝাঁপ দেয়৷ পরে হেলেনিক কোস্ট গার্ডের সদস্যরা তাদের গ্রেপ্তার করেন৷  

গ্রিসের সংবাদমাধ্যম ‘গ্রিক টাইমসের’ তথ্য অনুযায়ী, পাচারের শিকার অভিবাসীদের ছয়জনকে সৈকত থেকে আর ৩৭ জনকে ‘ইন্টারসিটি বাস’ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷  

মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা নিয়মিতই তুরস্ক থেকে অনিয়মিত পথে অভিবাসীদের গ্রিসের বিভিন্ন দ্বীপে নিয়ে আসে৷ পথে দুর্ঘটনায় সমুদ্রে অনেকেই প্রাণ হারান৷ হিসাব অনুযায়ী, সদ্যবিদায়ী বছরে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে ৩০০ জনের বেশি অভিবাসী ডুবে গিয়েছেন বা নিখোঁজ রয়েছেন৷ ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ১১১ জন৷  

এফএস/আরকেসি (ডিপিএ)

 

অন্যান্য প্রতিবেদন