(ফাইল ছবি) গ্রিসে পৌঁছানোর প্রত্যাশায় তুরস্কের ইজমিরে একদল আফগান শরণার্থী৷ ছবি: ইমাগো
(ফাইল ছবি) গ্রিসে পৌঁছানোর প্রত্যাশায় তুরস্কের ইজমিরে একদল আফগান শরণার্থী৷ ছবি: ইমাগো

গত বছর ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক অভিবাসীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রত্যার্পণ করেছে তুরস্ক৷ সোমবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য প্রকাশ করেছে৷

গত বছর এক লাখ ২৪ হাজার ৪৪১ অভিবাসীকে জোরপূর্বক প্রত্যার্পণ বা ফেরত পাঠিয়েছে তুরস্ক৷ দেশটি তার ইতিহাসে এর আগে কখনও এক বছরে এত অভিবাসীকে ফেরত পাঠায়নি৷ ২০২১ সালের তুলনায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে ফেরত পাঠানোর সংখ্যা ১৬১ শতাংশ বা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে৷ 

সব মিলিয়ে ২০১৬ সালের পর থেকে গত বছর পর্যন্ত তুরস্কের প্রত্যার্পণ করা অভিবাসীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৪৯ হাজার ৩২৬ জনে৷  


ফিরে গেছেন ৬০ হাজার সিরীয় 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন অভিবাসন ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ৫৮ হাজার ৭৫৮ জন সিরীয় স্বেচ্ছায় নিরাপদ অঞ্চলে ফেরত গেছেন৷ সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ফেরত যাওয়া সিরীয়দের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৯ হাজার ৩৩২ জনে৷  

২০১১ সালে শুরু হওয়া সিরীয় গৃহযুদ্ধের জেরে দেশটির বিপুল মানুষ প্রতিবেশী তুরস্কে আশ্রয় নেন৷ হিসাব অনুযায়ী, এখনও ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার বেশি সিরীয় রয়েছেন তুরস্কে৷ 

সব মিলিয়ে তুরস্কে বিভিন্ন অভিবাসী, শরণার্থীর মোট সংখ্যা ৫০ লাখ, যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ৷  

তুরস্ক প্রবেশে বাধা, গ্রেপ্তার 

শুধু ফেরত পাঠানোই নয়, গত বছর বহু অভিবাসীকে সীমান্ত পেরোতে বাধা দিয়েছে তুরস্ক৷ এই সংখ্যা ছিল দুই লাখ ৮০ হাজার জন৷ উল্লেখ্য ইউরোপে প্রবেশের আশায় সিরীয় ছাড়াও আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ তুরস্কে প্রবেশের চেষ্টা করেন৷  

অনিয়মিতভাবে দেশটিতে প্রবেশ করা এমন দুই লাখ ৩৬ হাজার ৫৭২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ৷  

অনিয়মিতভাবে আসা অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে বহিষ্কার কেন্দ্রের সংখ্যা গত বছর ৩০টিতে উন্নীত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে অভিবাসন ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর৷ সেখানে মোট ২০ হাজার ৫৪০ জনকে রাখা যায়৷  

এফএস/আরকেসি 

 

অন্যান্য প্রতিবেদন