সার্বিয়া ভিসা ব্যবস্থায় কড়াকড়ি আরোপের কারণে গোটা বলকান রুটেই অভিবাসনের চিত্রে তার প্রভাব পড়েছে৷ অস্ট্রিয়া জানিয়েছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এই পথে তাদের সীমান্তে প্রবেশ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে৷
সম্প্রতি সার্বিয়ায় প্রবেশের ক্ষেত্রে ভিসার নিয়মে বেশ কিছু কড়াকড়ি আরোপ করেছে বেলগ্রেড৷ বুরুন্ডি ও টিউনিশিয়ার মানুষ আগে ভিসা ছাড়াই দেশটিতে আসতে পারতো৷ সেই সুবিধা এখন বাতিল করা হয়েছে৷ একইভাবে ২০২৩ সালের শুরু থেকে ভারতীয়রাও ভিসা ছাড়া আর সার্বিয়ায় প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন না৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপের পর ভিসা নীতিতে এসব পরিবর্তনে অনেকটা বাধ্য হয়েছে দেশটি৷
আগে ভিসা লাগতো না এমন দেশের নাগরিকদের অনেকে সার্বিয়া এসে পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে চলে যেতেন৷ তাদের বৃহত্তর অংশের গন্তব্য ছিল অস্ট্রিয়া৷ দেশটিতে গিয়ে তারা আশ্রয় আবেদন করতেন৷ তবে সম্প্রতি ভারত ও টিউনিশিয়ার মতো ‘নিরাপদ’ হিসেবে বিবেচিত দেশগুলোর নাগরিকদের আশ্রয় আবেদন বাতিল করতে শুরু করে অস্ট্রিয়া৷
কয়েক সপ্তাহর মধ্যেই বড় পরিবর্তন
এদিকে সার্বিয়া তাদের ভিসা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই অস্ট্রিয়ায় ভারতীয়দের আশ্রয় আবেদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমেছে৷
অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছর অক্টোবরের শেষ দিকে যেখানে প্রতি সপ্তাহে প্রায় এক হাজার জন আশ্রয় আবেদন করেছেন সেটি এখন সপ্তাহে ৩০০ জনে নেমে এসেছে৷
সেই সঙ্গে অনুমতি ছাড়া দেশটিতে প্রবেশের চেষ্টাও অনেকটা কমে গেছে৷ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মার্কুস হাইন্ডল বার্তা সংস্থা ডিপিএকে বলেছেন, ‘‘ (অবৈধ উপায়ে সীমান্ত পাড়ি দেয়ার কারেণে) নভেম্বরে যেখানে ৬০০ থেকে ৬৫০ জনকে দৈনিক গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেখানে গ্রেপ্তারের সংখ্যা এখন ১০০ থেকে ১৫০ জনে নেমেছে৷’’
শীতের সময়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সীমান্ত পাড়ির সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা কমে আসে৷ কিন্তু অস্ট্রিয়ান মন্ত্রণালয় এটিকে কারণ হিসেবে বিবেচনা করছে না, কেননা, অভিবাসনের পথে বাধা হওয়ার মতো শীত চলতি মৌসুমে এখনও আসেনি৷
এর আগে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামা জানিয়েছেন, গত বছর অস্ট্রিয়ায় ১৮ হাজার ভারতীয় নাগরিকের আশ্রয় আবেদন জমা পড়েছে৷ অর্থাৎ, প্রতি পাঁচ জনের একজন ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির৷
তিনি আরো জানান, ভারতীয়রা অস্ট্রিয়ায় প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যদেশগুলোতে আবেদন করেন৷
পড়ুন: অনিয়মিত অভিবাসন রুখতে ভারত-অস্ট্রিয়া চুক্তি
এফএস/এসিবি (ডিপিএ)