স্প্যানিশ ছিটমহল মেলিলায় কাঁটাতারের বেড়া ও লোহার প্রাচীর অতিক্রমের চেষ্টারত অভিবাসীদের একটি দল। ছবি: রয়টার্স
স্প্যানিশ ছিটমহল মেলিলায় কাঁটাতারের বেড়া ও লোহার প্রাচীর অতিক্রমের চেষ্টারত অভিবাসীদের একটি দল। ছবি: রয়টার্স

২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে স্পেন-মরক্কো সীমান্তের মেলিলা ছিটমহলে সংগঠিত সংঘর্ষের ঘটনায় অভিযুক্ত ১৩ অভিবাসীর সাজা বাড়িয়েছে মরক্কোর আপিল আদালত৷ প্রাথমিক রায়ে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হলেও আপিলে তাদের সাজা আরও ছয় মাস বেড়েছে৷

স্প্যানিশ ছিটমহল মেলিলায় নজিরবিহীন সংঘর্ষের ঘটনায় সম্পৃক্ত অভিবাসীদের বিচারের মুখোমুখি করা অব্যাহত রেখেছে মরক্কো কর্তৃপক্ষ৷ 

অভিযুক্ত ১৩ অভিবাসীর বিরুদ্ধে প্রদান করা আড়াই বছরের সাজা আরও ছয় মাস বৃদ্ধি করে সোমবার আপিলের রায় ঘোষণা দিয়েছে মরক্কোর আদালত৷ 

১৩ অভিবাসীকে গত বছরের আগস্টে প্রথম দফায় আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল৷ মরক্কো (উত্তর-পূর্ব) অঞ্চলের নাদোর শহরের আপিল আদালত সংশ্লিষ্ট ১৩ অভিবাসীর সাজা ছয় মাস বাড়িয়েছে৷ 

আরও পড়ুন>>২০২২: স্পেনে অনিয়মিত অভিবাসনে ব্যাপক হ্রাস

অভিবাসীদের আইনজীবী এমবারেক বুইরিগ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘‘নতুন রায়ে তাদের প্রত্যেককে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৷ 

এমবারেক বুইরিগের মতে, ‘‘অবৈধ অভিবাসনে সহায়তাকারী অপরাধী চক্রে অংশগ্রহণ, মরক্কোতে অবৈধভাবে প্রবেশ এবং আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার দায়ে বিচার করা হয়েছে৷’’

প্রায় দুই হাজার অভিবাসীসহ তারা সুদান থেকে এসে উত্তর মরক্কোতে অবস্থিত স্প্যানিশ স্বায়ত্তশাসিত শহর মেলিলায় ২০২২ সালের ২৪ জুন জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করেন৷

পড়ুন>>ক্যানারি উপকূলে নিখোঁজ অভিবাসীদের মৃতদেহ শনাক্তে পরিবারগুলোর সংগ্রাম

মরক্কোর কর্তৃপক্ষের মতে, এই প্রচেষ্টায় ২৩ জন অভিবাসী নিহত হোন। অপরদিকে, মরক্কার অ্যাসোসিয়েশন ফর হিউম্যান রাইটস (এএমডিএইচ) এর মতে এ ঘটনায় ২৭ অভিবাসী নিহত হনভ 

মেলিলা এবং পার্শ্ববর্তী স্প্যানিশ ছিটমহল সেউটাতে সাব-সাহারান অভিবাসীদের প্রচেষ্টার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় সংঘর্ষের ঘটনা৷ আফ্রিকা মহাদেশের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একমাত্র স্থল সীমান্ত এই অঞ্চলে অবস্থিত। 

এই ঘটনার পরে, এরইমধ্যে অনেক অভিবাসীকে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে৷

আরও পড়ুন>>মরক্কোতে মানবপাচারকারী সন্দেহে গ্রেপ্তার ২৩

স্প্যানিশ সরকারের পক্ষ থেকে, স্প্যানিশ প্রসিকিউটর অফিস ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর নিহত অভিবাসীদের মৃত্যুর তদন্ত বন্ধ করে দেয়৷ 

প্রসিকিউশন একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এই দুর্ঘটনার সময় স্প্যানিশ নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সংগঠিত কোন অপরাধের প্রমাণ তারা পায়নি৷ যদিও তা এনজিওগুলোর মতামত বা অভিযোগের সাথে সাংঘর্ষিক৷ 

পড়ুন>>মরক্কো পুলিশের গুলিতে নিহত সাব-সাহারান আফ্রিকার অভিবাসী

আন্তজার্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ অভিহিত করে বলেছে, রাবাত ও মাদ্রিদ সত্য আড়াল করতে চায়৷


এমএইউ/এফএস         রেড়িও ফ্রান্স ইন্টারন্যাশনাল (আরএফআই)




 

অন্যান্য প্রতিবেদন