ফেডারেল অফিস ফর মাইগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজিসের (বিএএমএফ) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর প্রায় আড়াই লাখ মানুষ অভিবাসী জার্মানিতে প্রথমবার আশ্রয় আবেদন করেছেন, যা ২০১৬ সালের পর সর্বোচ্চ৷
আশ্রয় আবেদন ও শরণার্থীদের হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে জার্মানি৷ বিএএমএফ এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর দুই লাখ ৪৪ হাজার ১৩২ জন দেশটিতে আশ্রয় আবেদন করেছেন৷ এর মধ্যে প্রথমবার আবেদন করেছেন দুই লাখ ১৭ হাজার ৭৭৪ জন৷ এই সংখ্যা ২০২১ সালের তুলনায় ৪৭ শতাংশ বেশি৷ প্রথম আবেদনের মধ্যে এক বছরের কম বয়সি ২৪ হাজার ৭৯১ শিশু আছে যারা জার্মানিতেই জন্মগ্রহণ করেছে৷
গত বছরের শেষ তিন মাসে আশ্রয় আবেদন উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বেড়েছে৷ কারণ বলকান রুট ব্যবহার করে এই সময়ে আগতদের সংখ্যা বেড়েছে৷
আবেদনকারীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন সিরিয়ার মানুষ৷ গত বছর দেশটির ৭২ হাজার ৬৪৬ জন জার্মানিতে আশ্রয় আবেদন করেছেন৷ এরপর আছেন আফগানিস্তান (৪১,৪৭১), তুরস্ক (২৫,০৫৪), ও ইরাকের (১৬,৩২৮) মানুষ৷
বিএএমএফ জানিয়েছে, বছরজুড়ে দুই লাখ ২৮ হাজার ৬৭৩ টি আবেদনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে তারা৷ এখনও সিদ্ধান্ত জানার অপেক্ষায় আছেন এক লাখ ৩৬ হাজার ৪৪৮ জন আবেদনকারী৷
গত বছর জার্মানিতে ১০ লাখের বেশি ইউক্রেনীয় শরণার্থী এসেছেন৷ তবে তাদেরকে এই আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়নি৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্দেশনায় জরুরি সুরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় তারা থাকার অনুমতি পেয়েছেন৷
জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নান্সি ফেসার বলেন, ‘‘ ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের জার্মানরা নানাভাবে সাহায্য করেছেন৷ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকেও মানুষ যুদ্ধ, সন্ত্রাস থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে৷ ফলে আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে৷’’
সরকার দ্রুত তাদের ইন্টিগ্রেশন বা জার্মান সমাজে আত্তীকরণের চেষ্টা করছে৷ এজন্য দ্রুত ভাষাশিক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ অন্যদিকে যাদের আবেদন বাতিল হয়েছে, তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের চেষ্টাও করা হচ্ছে।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালে জার্মানিতে মোট ১৩ লাখ ২০ হাজার অভিবাসী এসেছেন, যা ২০২০ সালের তুলনায় ১১.৫ শতাংশ বেশি৷
আরকেসি/এফএস (এপি,ডিপিএ)