আফ্রিকান শরণার্থীদের উদ্ধারের প্রস্তুতি। ছবি:পিকচার অ্যালায়েন্স।
আফ্রিকান শরণার্থীদের উদ্ধারের প্রস্তুতি। ছবি:পিকচার অ্যালায়েন্স।

একটি স্প্যানিশ এনজিও বুধবার জানিয়েছে, গত বছরে স্পেনে পৌঁছাতে গিয়ে দুই হাজার ৩৯০ জন অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছেন অথবা নিখোঁজ হয়েছেন৷ এরমধ্যে ২৮৮ জন নারী ও ১০১ জন শিশু রয়েছে৷

কামিনান্দো ফ্রন্তেরাস নামে এনজিওটি জানিয়েছে, গত বছর এক হাজার ৭৮৪ জন অভিবাসী নৌকায় করে স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছানোর সময় প্রাণ হারিয়েছেন৷ অভিবাসী অধিকার গোষ্ঠীটি আলজেরিয়া থেকে স্পেনের পূর্ব ভূমধ্যসাগর উপকূলে জনপ্রিয় রুট নিয়েও আশঙ্কার কথা বলেছে। ২০২২ সালে এই পথে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করে কমপক্ষে ৪৬৪ জন মারা যান৷

কামিনান্দো ফ্রন্তেরাস বলেছে, তারা অভিবাসীদের পরিবার এবং উদ্ধারের পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য সংকলন করেছে৷

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম সরকারি পরিসংখ্যান দিয়ে বলেছে, গত বছর ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টায় দুই হাজার ৫৫৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন৷ এর মধ্যে এক হাজার ১২৬ জন পশ্চিম আফ্রিকা এবং আটলান্টিক রুটে এসেছিলেন৷ ২৬০ জন পশ্চিম ভূমধ্যসাগরের পথে স্পেনে আসার চেষ্টা করেছিলেন৷

স্পেনে আসা অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা ২০২২ সালে ২৫ দশমিক ছয় শতাংশ কমেছে৷ স্পেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২১ সালে যেখানে ৪১ হাজার ৯৪৫ জন এসেছেন সেখানে ২০২২ সালে তা কমে ৩১ হাজার ২১৯ জনে দাঁড়িয়েছে৷ মরক্কোর সঙ্গে স্পেনের সীমান্তে, সেউটা এবং মেলিলা ছিটমহল বরাবর উত্তর আফ্রিকা থেকে আসা অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে ২৪ দশমিক এক শতাংশ৷ ২০২১ সালের তুলনায় সমুদ্রপথে আসা অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা ২৭ দশমিক নয় শতাংশ এবং নৌকায় আসা অভিবাসীদের সংখ্যা ২০ দশমিক সাত শতাংশ কমেছে৷

গত ২৪ জুন স্পেন সীমান্তে সংঘর্ষে ৪০ জন নিহত হন বলে জানিয়েছে কামিনান্দো ফ্রন্তেরাস৷ আগের প্রতিবেদনে মৃতের সংখ্যা ২৩ উল্লেখ করেছিল তারা৷ মরক্কো কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রায় দুই হাজার অভিবাসী সে দেশের উত্তর উপকূলে অবস্থিত মেলিলা সীমান্তের বেড়া টপকে স্পেনে প্রবেশের চেষ্টা করেন৷ মরক্কো ও স্পেনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে অভিবাসীদের সংঘর্ষ হয়৷

ইউরোপে অনিয়মিত অভিবাসনের প্রধান প্রবেশদ্বারগুলোর মধ্যে অন্যতম হল স্পেন। এই দেশটিকে অভিবাসীরা সাধারণত অস্থায়ী ‘ট্রানজিট’ হিসেবে ব্যবহার করেন। একবার স্পেনে পৌঁছলে অভিবাসীরা পরে জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়াসহ বিভিন্ন দেশে চলে যান।


আরকেসি/এফএস (এপি)

 

অন্যান্য প্রতিবেদন