লেসবসের মাভ্রোউনি শরণার্থী শিবিরে একজন অভিবাসী মা ও  শিশু। ছবি: ইনফোমাইগ্রেন্টস
লেসবসের মাভ্রোউনি শরণার্থী শিবিরে একজন অভিবাসী মা ও শিশু। ছবি: ইনফোমাইগ্রেন্টস

গ্রিক দ্বীপ লেসবসে এখন আর অভিবাসীদের ভিড় নেই। এরপরেও বিপজ্জনক যাত্রা পেরিয়ে যারা আসছেন তাদের লক্ষ্য, দ্রুত পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এনজিও এর সহায়তায় মাভ্রোউনি শরণার্থী শিবিরে জায়গা করে নেয়া। ইনফোমাইগ্রেন্টসের বিশেষ প্রতিনিধি শার্লত ওবেরতির প্রতিবেদন।

এক সময়ে উপচে পড়া ভিড় থাকা গ্রিক দ্বীপ লেসবসে নতুন অভিবাসীদের আগমনের প্রবণতা কমে গিয়েছে। কঠোর সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ নীতি আরোপ করে দ্বীপে অভিবাসী আগমনের হার একেবারে কমিয়ে এনেছে এথেন্স। 

তবে এত প্রতিবন্ধকতার পরেও যারা দ্বীপটিতে আসছেন তাদের লক্ষ্য থাকে পুশব্যাক এড়িয়ে একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল খুঁজে পাওয়া। 

একটি ভ্রাম্যমাণ আশ্রয় কাঠামোতে দাঁড়িয়ে আনমনে কোথায় যেন তাকিয়ে আছেন সোমালিয়া থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থী রোকায়া সিডো। এই নারী অভিবাসীর মনে উঁকি দিচ্ছে নানা চিন্তা। 

এনজিও ইউরো রিলিফের এক কর্মী জানান, ২০ বছর বয়সি এই সোমালিয়ান নারীকে লেসবোসের মাভরোউনি অভিবাসী শিবিরের অন্য একটি কাঠামো বা কক্ষে স্থানান্তর করা হবে। 

আরও পড়ুন>>গ্রিসে অভিবাসী আগমনে ‘নাটকীয় হ্রাস’

শিবিরের এক ব্যক্তি বলেন,“ নতুনদের জন্য জায়গা তৈরি করতে হবে। প্রতি কক্ষে অভিবাসীদের সংখ্যা পাঁচজনের বেশি হওয়া যাবে না।”

রোকায়া আরবি ভাষায় উত্তর দিয়ে বলেন, “আচ্ছা, এই ঘরে আমরা মোট ছয়জন থাকব। জায়গা পরিবর্তনের চেয়ে আমি এখানে থাকাই ভাল বলে মনে করি৷”


মাভ্রোউনি শরণার্থী শিবিরে নিজের কক্ষের সামনে অভিবাসী রোকায়া সিডো। ছবি: ইনফোমাইগ্রেন্টস
মাভ্রোউনি শরণার্থী শিবিরে নিজের কক্ষের সামনে অভিবাসী রোকায়া সিডো। ছবি: ইনফোমাইগ্রেন্টস


রোকায়ার বর্তমান বাসস্থান মাভ্রোউনি শরণার্থী শিবিরের নীল অঞ্চলে অবস্থিত। এটি মূলত নারী ও পরিবারগুলোর জন্য একটি সংরক্ষিত অঞ্চল। যেটি ক্যাম্পের প্রবেশদ্বারের কাছে একটি ব্যারাকের কাছাকাছি অবস্থিত। এ জায়গায় অভিবাসীদের জন্য সার্বক্ষনিক চা ও কফির ব্যবস্থা রয়েছে। 

সাগর পাড়ি দিয়ে শান্তির আবাস শরণার্থী শিবির

তবে রোকায়ার বাসা পরিবর্তন করতে না চাওয়া এসব সুবিধার জন্য নয়। পুরো ঘটনার সাক্ষী হিসেবে থাকা ইউরোপিয়ান অ্যাসাইলাম এজেন্সির এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন, রোকায়া মনে করেন এটি তার নিজের বাসা কারণ এটি রাষ্ট্রের আওতায়ভুক্ত একটি স্থান। 

গত বছরের ৬ অক্টোবর এজিয়ান সাগর পাড়ি দিয়ে গ্রিসে এসেছিলেন রোকায়া। সে সময় সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে ১০ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। সে কারণে এই পূর্বনির্ধারিত চার দেয়ালের কাঠামোটি বর্তমানে রোকায়ার কাছে একটি অস্থায়ী আশ্রয়ের চেয়েও অনেক বেশি কিছু হয়ে উঠেছে।

এই কাঠামোটি বেশ ছোট হলেও তিনি এখানে বেশ স্বস্তিতে রয়েছেন। তিনি পর্দার মতো কক্ষের চারিদিকে থাকা জানালায় কাপড়ের টুকরো ঝুলিয়ে রেখেছিলেন এবং কক্ষের মেঝেটি একটি আবরণ দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলেন। এছাড়া দরজার বাইরে একটি উঁচু জায়গা তৈরি করেছিলেন যেখানে কক্ষের প্রবেশের আগে জুতা রাখা যাবে যাতে ভিতরে নোংরা না হয়।

পড়ুন>>বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ: স্বপ্নের হাতছানিতে মৃত্যুযাত্রা

এই শিবিরে বর্তমানে এক হাজার ৮০০ জনের মতো অভিবাসী রয়েছে। যদিও শিবিরের ধারণক্ষমতা দুই হাজার ৫০০ জনের। যদিও এখানে অভিবাসীরা তাদের আশ্রয় আবেদন চলাকালীন অবস্থায় ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত অবস্থান করেন তবে এটি এজিয়ান সাগর পাড়ি দিয়ে আসা ব্যক্তিদের জন্য ইউরোপের প্রথম আবাসস্থল। অনেক অভিবাসীদের কাছে পরবর্তীতে এটি আবেগ ও স্মৃতির বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। 

স্থলপথেও ‘পুশব্যাক’

লেসবসে অভিবাসন পরিস্থিতির বুঝতে এই অস্থায়ী শিবিরটি যথেষ্ট। পাশেই একটি নতুন কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ চলছে। যেটি বর্তমান অস্থায়ী শিবিরকে প্রতিস্থাপিত করবে। এই শিবিরটির মাধ্যমে দ্বীপের একটি নতুন পরিচয় তৈরি করতে চেষ্টা করছে গ্রিক কর্তৃপক্ষ। 

ইউরোপীয় আশ্রয় সংস্থার অন্য একজন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্তব্য করেন, “আমরা এখন মোরিয়া শরণার্থী শিবির থেকে অনেক দূরে,”

মোরিয়া শিবির উপচে পড়া অভিবাসী ভিড়ের জন্য আলোচিত। যেটি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। এই শিবিরের অবশিষ্টাংশগুলি মাভ্রোউনি শরণার্থী থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

আরও পড়ুন>>গ্রিস: ২৪ অভিবাসনকর্মীর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ বাতিল

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, গ্রিক কর্তৃপক্ষ দ্বীপের অভিবাসী সমস্যা নিরসনের বিষয়ে এক প্রকার বাজি ধরেছে। সরকার রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রক্রিয়াগুলিকে দ্রুত গতিতে শেষ করার নীতি নিয়েছে। যা আগে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লাগত। 

আশ্রয়প্রার্থীদের ইউরোপের বিভিন্ন দেশ স্থানান্তের লক্ষ্যে ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতাও দ্রুত তুলে নেওয়া হচ্ছে। একই সময়ে, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, বিশেষ করে সমুদ্রেপথে কড়া নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

অবশ্য এত এত পদক্ষেপের ফলাফলও পেয়েছে এথেন্স। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এর পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২ সালে শুধুমাত্র দুই হাজার,৭৪০ জন অভিবাসী লেসবসে এসেছেন। যা ২০১৯ সালে ছিল ২৭ হাজার। 


শরণার্থী শিবিরে অভিবাসীদের জন্য স্থাপিত একটি সেলুন। ছবি: ইনফোমাইগ্রেন্টস
শরণার্থী শিবিরে অভিবাসীদের জন্য স্থাপিত একটি সেলুন। ছবি: ইনফোমাইগ্রেন্টস


অপরদিকে, এই দ্বীপে ২০১৫ সালে রেকর্ড পাঁচ লাখ ছয় হাজার অভিবাসীর প্রবেশ ঘটেছিল। এই তুলনায় বর্তমান সংখ্যা গ্রিক সরকারের জন্য অত্যন্ত সুখকর একটি পরিসংখ্যান। 

লেসবসে ইউএনএইচসিআর অফিসের বহিঃসম্পর্ক বিভাগের প্রধান থিওডোরোস অ্যালেক্সেলিস মন্তব্য করেন, “আগের তুলনায় এখনকার অবস্থা কিছুই নয়। পরিস্থিতি ক্রমশ স্থিতিশীল।”

কিন্তু মাভ্রোউনিতে নিরাপদে পৌঁছাতে অভিবাসীদের বিভিন্ন বাধা পার হতে হয়। গ্রিসের মাটিতে পুলিশের সঙ্গে এক প্রকার লুকোচুরি শেষ করে এও শিবিরে আসতে হয় নতুন আশ্রয়প্রার্থীদের। 

পড়ুন>>সমুদ্রে ধাওয়া করে মানবপাচারকারী পাকড়াও গ্রিসের

সমুদ্র ছাড়াও সমতলেও গ্রিক সীমান্ত রক্ষীদের হাতে বেআইনি পুশব্যাকের অভিযোগ দেশটিতে একটি সাধারণ ঘটনা। পুশব্যাকের অভিযোগ এত বেশি যে, অভিবাসীরা একবার লেসবসে পৌঁছে গেলেও, সেখানে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করতে পারবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। মাভ্রোউনি শিবিরে যাওয়ার পথেই পুলিশের হাতে আটক হওয়ার ঝুঁকি থাকে অভিবাসীদের। 

তুরস্ক থেকেই শুরু ‘প্রস্তুতি’

২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে গ্রিসের স্থল ও সমুদ্র সীমানায় মোট ৬৯০টি বেআইনি পুশব্যাকের ঘটনা নতিভুক্ত করেছে ইউএনএইচসিআর।

থিওডোরোস অ্যালেক্সেলিস বলেন, “গড়ে প্রতি সপ্তাহে চারটি পুশব্যাক ঘটেছে।”

এসব ঘটনায় প্রমাণ সংগ্রহ করেছে জাতিসংঘের এই সংস্থা। ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে নথিভুক্ত হওয়া পুশব্যাকের মোট সংখ্যা ১৫২। যার মধ্যে ১০৩টি সমতলে বা স্থল পথে ঘটেছে। 

আরও পড়ুন>>মানবপাচার চক্র ভেঙ্গে দেয়াকে ‘জাতীয় অগ্রাধিকার’ বলছে গ্রিস

থিওডোরোস অ্যালেক্সেলিস উল্লেখ করেন, “এই সমস্ত ঘটনা গ্রিক কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা প্রায়শই এসব বেআইনি পুশব্যাক অস্বীকার করে। এসব মামলায় আমরা তাদের কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাইনি।”

সমুদ্রপথের সঙ্গে স্থলপথেও পুশব্যাক হওয়ার ভয়ের এই পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে অভিবাসীরা। তারা তুরস্কের উপকূল থেকেই এটির জন্য প্রস্তুতি নিয়ে থাকে।

বর্তমানে মাভ্রোউনি শিবিরে আছেন ২২ বছর বয়সি সুদানের অভিবাসী ইউসরা আলি।

তিনি বলেন, “তুরস্কে পাচারকারীদের বাড়িতে আমাদের বলা হয়েছিল, আমরা যেন গ্রিসের মাটিতে প্রবেশের সাথে সাথেই আলাদা হয়ে যায়। অন্যথায় কর্তৃপক্ষ আমাদের আটক করে নিয়ে যাবে।”

ধারণা করা যায় অভিবাসীরা লুকানোর জন্য মাঝে মাঝে সমুদ্র থেকে ভেজা গায়ে সৈকতের কাছাকাছি ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে পড়ে। সেখান থেকে তারা এনজিও এবং মানবিক সাহায্য সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। আবার কেউ কেউ দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্বে মাইটিলিনের আশেপাশে পায়ে হেঁটে মাভ্রোউনি শিবিরে পৌঁছানোর উদ্যোগ নেয়।

পড়ুন>>অভিবাসী উদ্ধার, কৃষিখাতে নিয়োগ নিয়ে মিশর ও গ্রিসের মধ্যে চুক্তি

ইউসরা গত বছরের ২১ অক্টোবর ৪৫ জন যাত্রীর সঙ্গে নৌকায় গ্রিসে এসেছিলেন। তারা যেদিন এসেছিলেন পরিকল্পনা অনুযায়ী সাবি ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে রওনা দেন কিন্তু দ্রুত তাদের দেখে ফেলে গ্রিক পুলিশ।

ইউসরা জানান, তাকে পুলিশ তাড়া করেছিল কিন্তু তারা পালাতে পেরেছিলেন। তবে আরেকজন নারী পালিয়ে যাওয়ার আগেই গ্রিক পুলিশ তার পা ও চুলের মুঠি ধরে আটকে ফেলে। পরবর্তীতে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছিল।

তাদের সঙ্গে আসা ১২ জনের আরেকটি দল নিখোঁজ রয়েছে। ইউসরা শিবিরে এসে তার সঙ্গে একই নৌকায় আসা কোনো সদস্যকে আর দেখতে পায়নি।


তিনি নিশ্চিত যে এই লোকদের একটি মোটরবিহীন বোটে ফের তুরস্কে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। কারণ তিনি নিয়মিত এনজিও এজিয়ান বোট রিপোর্টের ফেসবুক পাতায় পোস্ট করা ভিডিও দেখেন।

পড়ুন>>গ্রিসে 'নিরাপদ রুট'-এর আবেদন জাতিসংঘের সংস্থাগুলির

মাভ্রোউনি ক্যাম্পের মুখোমুখি একটি ক্লিনিকের প্রথম তলায় বসে ফরাসি এনজিও এমএসএফের লেসবস এর সমন্বয়কারী টিও ডি পিয়াজা ইনফোমাইগ্রেন্টসকে বলেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অনেক স্থানীয় সংস্থা লোকেদের লেসবসে আসতে দেখেছে কিন্তু তারা পরবর্তীতে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে। বিষয়গুলি পরিষ্কার ছিল না। পরবর্তীতে আমরা গণমাধ্যমে পুশব্যাকের অভিযোগ দেখতে পাই।”

‘আমরা এমএসএফ, আপনি নিরাপদ’

২০২২ সালের জুন মাস থেকে লেসবসে ইএমএ বা জরুরি চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম চালাচ্ছে আন্তজার্তিক ফরাসি দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস বা এমএসএফ। 

যখন অভিবাসীরা দ্বীপে আসে, তখন তারা সাধারণত ইউএনএইচসিআর, লেসবস লিগ্যাল সেন্টার (মাইটিলিনের একটি আইনি সংস্থা) বা অ্যালার্ম ফোনের (সমুদ্রে ঝুঁকিতে থাকা অভিবাসীদের জরুরি প্ল্যাটফর্ম) সঙ্গে যোগাযোগ করে।

এসব সংস্থা আমাদের সতর্ক করে এবং আমরা দ্রুত হস্তক্ষেপ করে অভিবাসীদের গ্রহণ করি। আমাদের আওতায় আসার পর অভিবাসীদের ব্যাপারে আমরা কর্তৃপক্ষকে বলি। যাতে আমরা দেশের শৃঙ্খলা নষ্ট ও অবৈধ অভিবাসনে সহায়তার অভিযোগে না পড়ি। 

আরও পড়ুন>>গ্রিসে হাত বাঁধা এবং আহত অবস্থায় অভিবাসীদের উদ্ধার

দ্বীপে আসা অভিবাসীদের মধ্যে মোহাম্মদ কাদের, ইউসরা এবং আরেকজন ব্যক্তি জানান, যখন তারা পুলিশের কাছ থেকে পালানোর চেষ্টা করছিলেন তখন এমএসএফের একটি দলকে তাদের দিকে আসতে দেখে ভয় পেয়েছিলেন। 

এমএসএফের লেসবস এর সমন্বয়কারী টিও ডি পিয়াজা বলেন, “অভিবাসীদের বিশ্বাস অর্জন করা সহজ নয়। আমরা এ অবস্থায় একটি পতাকা নিয়ে চিৎকার করে বলতে থাকি, আমরা এমএসএফের ডাক্তার,আপনারা নিরাপদ।”

তিনি আশ্বস্ত করেন, “একবার আমরা সেখানে গেলে তাদের আর লুকিয়ে থাকতে হয় না। যে মুহূর্ত থেকে আমরা তাদের (আগমনের) সাক্ষী হলাম, তখন থেকে এসব লোকেদের আর ফেরত পাঠানো সম্ভব নয়। অতিরিক্ত কাজের চাপ এবং ক্লান্তির মধ্যে এইভাবে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিবাসীদের সুরক্ষা হিসাবে কাজ করে এমএসএফ।”

পড়ুন>>এজিয়ান সাগরে ‘মানবপাচারকারীর’ নৌকায় গ্রিক উপকূলরক্ষীদের গুলি

ইউএনএইচসিআর-এর থিওডোরোস অ্যালেক্সেলিস উল্লেখ করেছেন, “২০১৬ সাল থেকে দ্বীপে স্পষ্টতই অনেক কম মানবিক সংস্থার উপস্থিতি রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে, এই এনজিওগুলি অন্যত্র চলে গেছে, যেখানে পরিস্থিতি আরও জরুরি ছিল। যেমন ইউক্রেনে। এছাড়া ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের দেওয়া তহবিল কমিয়েছে। তবে তাদের এখানে এখনও একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করতে হবে।”

২০২২ সালের জুন থে এ পর্যন্ত ২,২০০ জন অভিবাসীকে ইএমএ বা জরুরি চিকিৎসা সহায়তার আওতায় সাহায্য করেছে এমএসএফ। 


লেসবস থেকে মূল প্রতিবেদন শার্লত ওবেরতি। ইনফোমাইগ্রেন্টস বাংলায় ফরাসি থেকে ভাষান্তর মোহাম্মদ আরিফ উল্লাহ। 


এমএইউ/আরকেসি

 

অন্যান্য প্রতিবেদন