ফেরি দিয়ে অনিয়মিতভাবে প্রবেশ করা ভিয়েতনামী অভিবাসীদের ইংল্যান্ডে পাচারের অভিযোগে চার ব্যক্তিকে সাজা দিয়েছে ফ্রান্সের আদালত। অভিযুক্তদের মধ্যে দুইজন সামাজিক যোগাযোগ সাইট স্ন্যাপচ্যাটের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পাচারচক্রে যোগ দেন।
ভিয়েতনাম আসা থেকে অনিয়মিত অভিবাসীদের সংঘবদ্ধভাবে পাচারের অভিযোগে চার ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে উত্তর ফ্রান্সের স্থানীয় বুলন-সুর-মের অঞ্চলের আদালত
অভিযুক্তদের সবাই ২৩ থেকে ২৮ বছর বয়সি পুরুষ। মামলায় মোট সাতজন অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের মধ্যে চারজনকে সাজা, দুইজনকে খালাস এবং সপ্তম ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আদেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন>> অভিবাসীদের সাগর পাড়ি দেয়ার ভিডিও অনলাইনে নিষিদ্ধের পরিকল্পনা
মূলত মানব পাচারকারীদের একটি নেটওয়ার্কের মধ্যে সংগঠিত বিভিন্ন টেলিফোনে আলাপ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছিল ফ্রান্স পুলিশ।
পড়ুন>> চ্যানেলে ঝুঁকিতে পড়া নৌকা উদ্ধার নিয়ে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের বাদানুবাদ
আদালতে বিচারের মুখোমুখি হওয়া ছয় আসামীর মধ্যে দু'জন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম স্ন্যাপচ্যাটে পাচারের কাজে দেওয়া লোভনীয় বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে সাড়া দিয়েছিলেন। এছাড়া অভিযুক্ত আরেক ব্যক্তি অর্থনৈতিকভাবে ঋণগ্রস্থ ছিলেন বলে আদালতের কাছে দাবি করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে চার ব্যক্তি ২০২২ সালের ১৬ থেকে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে ফেরি পারাপারের মাধ্যমে সফল পাচারে তাদের সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
আরও পড়ুন>>বেলজিয়াম থেকে যুক্তরাজ্যে সমুদ্রপাড়ি কমেছে ৭৫ শতাংশ
আদালতে নিজেকে ঋণগ্রস্ত দাবি করা ব্যক্তি বলেন, ৩০ এপ্রিল একজন ভিয়েতনামী নারীকে ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও শেষপর্যন্ত তিনি যাননি। তিনি অভিযুক্ত ষষ্ঠ ব্যক্তির সঙ্গে ছিলেন। তার দাবি, পারাপারের ব্যাপারে কিছু জানতেন না।
আদালতের কাছে দায় স্বীকার করা চারজন ছাড়া এই দুইজন ব্যক্তিকে বিচারবিভাগের নজরদারিতে রেখে মামলা থেকে খালাস করেছে বুলন-সুর-মের আদালত।
পড়ুন>> ২০২২: চ্যানেল পেরিয়ে যুক্তরাজ্যে ৪৫ হাজার অভিবাসী
তিনজনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রায়ে তাদের আট মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। চতুর্থ জনকে ১২ মাসের কারাদণ্ড এবং ১৮ মাস প্রশাসনিকভাবে কাজের বাধ্যবাধকতা ও উত্তর ফ্রান্সের কালে অঞ্চলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
এমএইউ/আরকেসি (লা ভোয়া দ্যু নর্দ)