ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশনে কড়া প্রহরা | ছবি: ইপিএ/জুলিয়েন ওয়ার্নান্ড
ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশনে কড়া প্রহরা | ছবি: ইপিএ/জুলিয়েন ওয়ার্নান্ড

২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আশ্রয়ের আবেদন আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়৷

রিপোর্ট বলছে, প্রতি তিনজনে একজন আবেদনকারী সিরিয়া থেকে এসেছেন, অথাৎ আবেদনকারীদের এক তৃতীয়াংশই সিরীয়৷

২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) আশ্রয়ের জন্য নয় লাখ ২৩ হাজার ৯৯১টি আবেদন জমা পড়েছে৷ আবেদনের এই সংখ্যা তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের তুলনায় শতকরা ৪৬ দশমিক ৬ ভাগ বেশি৷

জার্মান সংবাদপত্র ভেল্ট আম সনটাগ রোববার (২২ জানুয়ারি) ইউরোপীয় কমিশনের বরাত দিয়ে এই কথা জানিয়েছে৷

ইইউ কমিশনের সর্বশেষ প্রতিবেদনটি ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ সালে প্রকাশিত৷

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে জার্মানিতে৷ তারপরে রয়েছে ফ্রান্স, স্পেন ও অস্ট্রিয়া৷

ইইউর ২৭টি দেশকে বিবেচনায় রেখে দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ আবেদনগুলি সিরিয়ার নাগরিকদের থেকে এসেছে৷ তারপরে আফগানিস্তান, তুরস্ক, ভেনেজুয়েলা এবং কলম্বিয়ার নাগরিকরা রয়েছেন৷

এছাড়াও, ইউক্রেন থেকে প্রায় ৫০ লাখ শরণার্থী ২০২২ সালে রুশ আক্রমণের পরে ব্লকে ‘অস্থায়ী সুরক্ষা’ চেয়েছিল৷

জার্মানিতে, আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা এক তৃতীয়াংশ বেড়ে দুই লাখ ২৬ হাজার ৪৬৭তে এসে দাঁড়িয়েছে৷ আবেদনের এই সংখ্যা ২০১৬ সালের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে৷

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মানিতে প্রতি তিনজন আবেদনকারীর মধ্যে একজন সিরিয়া থেকে এসেছেন৷ এরপরে রয়েছেন আফগানিস্তান, তুরস্ক এবং ইরাকের আবেদনকারী৷

ইউক্রেনীয়দের জার্মানিতে থাকার জন্য আশ্রয়ের জন্য আবেদন করতে হবে না এবং তাই আশ্রয়ের পরিসংখ্যানে তারা অন্তর্ভুক্ত নন৷

যদিও সমালোচকরা এই ব্যবস্থাটিকে বৈষম্যমূলক বলে নিন্দা করেছেন৷ বার্লিনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয়দের প্রতি অগ্রাধিকারমূলক আচরণ প্রদর্শনের অভিযোগ তাদের৷

আরকেসি/আর আর(এএফপি)

 

অন্যান্য প্রতিবেদন