গত বছরের ডিসেম্বরে আট বছরের কারাদণ্ড পাওয়া এক পলাতক পাচারকারীকে আটক করেছে ব্রিটিশ ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)। ছবি: টুইটার@NCA_UK
গত বছরের ডিসেম্বরে আট বছরের কারাদণ্ড পাওয়া এক পলাতক পাচারকারীকে আটক করেছে ব্রিটিশ ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)। ছবি: টুইটার@NCA_UK

প্রায় দুই হাজার কুর্দি অভিবাসীকে অবৈধভাবে ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যে পাচারের অভিযোগ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দোষী সাব্যস্ত হন পাচারচক্রের পাণ্ডা তারিক নামিক। শনিবার এই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় লন্ডন কর্তৃপক্ষ।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে প্রায় দুই হাজার কুর্দি অভিবাসীকে ইউরোপে ও যুক্তরাজ্যে পাচারের অভিযোগে আট বছরের সাজা দেয়া হয় আন্তজার্তিক পাচারচক্রের হোতা তারিক নামিককে।

তবে যুক্তরাজ্যের আদালতে তার সাজা হলেও পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন এই ব্যক্তি।

আরও পড়ুন>>ফ্রান্স: ট্রেনের ধাক্কায় অভিবাসীর মৃত্যু কি আত্মহত্যা?

ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ শনিবার জানিয়েছে, একটি বড় চোরাচালান নেটওয়ার্কের এই চাঁইকে আটক করা হয়েছে।

এই নেটওয়ার্কটি অন্তত এক হাজার ৯০০ কুর্দি অভিবাসীকে বলকান রুট থেকে থেকে ফ্রান্স, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যে পাচার করেছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী দল। 

এসব অভিবাসীদের পাচারে জন প্রতি ১৮০০ ইউরো হাতিয়ে নিয়েছিল পাচারচক্র।

পড়ুন>>যুক্তরাজ্য থেকে ‘ডিপোর্ট’ ৪০ জনেরও বেশি আলবেনীয়

গত বছরের ৯ ডিসেম্বর এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত পাঁচ মানবপাচারকারীকে সাজা দেন আদালত। প্রধান আসামী ৪৫ বছর বয়সি তারিক নামিককে আট বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। আদালতে অনুপস্থিতির কারণে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।

ব্রিটিশ ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইস্তাম্বুল থেকে একটি ফ্লাইটে ম্যাঞ্চেস্টার বিমানবন্দরে (ইংল্যান্ডের উত্তরে) পৌঁছানোর পর শুক্রবার তাকে আটক করে নিরাপত্তা হেপাজতে নেওয়া হয়৷


সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য ওই ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছে এনসিএ।

আরও পড়ুন>>যুক্তরাজ্যে বেআইনিভাবে আশ্রয়প্রার্থীদের আটক রাখা হয়েছিল: বিবিসি

এনসিএ কর্মকর্তা রিচার্ড হ্যারিসন জানান, “নামিক একজন কুখ্যাত পাচারকারী ছিলেন। তার নিয়ন্ত্রিত অপরাধী গোষ্ঠী মুনাফার জন্য দুর্বল অভিবাসীদের বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছিল। তিনি যে অপরাধ করেছেন তার জন্য বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন ভেবেই আমি আনন্দিত।”

পড়ুন>>চ্যানেলে অনিয়মিত অভিবাসন বন্ধে যুক্তরাজ্য-আলবেনিয়া চুক্তি স্বাক্ষর

২০১৭ সাল থেকে এই নেটওয়ার্কটি এনসিএ-এর তদন্তের আওতায় ছিল। ইরাক এবং ইরান থেকে অভিবাসীদের পরিবহনের সমন্বয়ে একটি ‘অত্যাধুনিক’ এবং ‘লাভজনক’ কার্যকলাপে যুক্ত ছিল নেটওয়ার্কটি।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত তারিক নামিক বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ট্রাকচালকদের পাচারের কাজে ব্যবহার করতেন।


এমএইউ/আরকেসি      (লো মাতাঁ সুইস)










 

অন্যান্য প্রতিবেদন