কারাবিনিয়ারি পুলিশের গাড়ি | ছবি:আনসা
কারাবিনিয়ারি পুলিশের গাড়ি | ছবি:আনসা

ইটালির মিলানের পুলিশ সংগঠন শহরের সদর দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাহায্য চেয়ে আহ্বান জানিয়েছে৷ মিলানে আশ্রয়ের আবেদন জানাতে প্রতিদিন বিপুল ভিড় হয়। পুলিশ এবং বিদেশিদের মধ্যে বচসা কখনো কখনো উত্তেজনার আকার নেয়৷ সম্প্রতি একটি বিক্ষোভ সামলাতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ৷

মিলানের এসআইএলপি সিজিআইএল পুলিশ ইউনিয়নের প্রাদেশিক সেক্রেটারি পিয়েত্রো ব়ান্দাজ্জো সমালোচনা করে বলেন, ‘‘মিলানে পুলিশের অভিবাসন বিভাগের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যার কোনো সমাধান করা হয়নি।’’

তার কথায়, ‘‘এই পরিস্থিতিতে কাজ করা যায় না৷ আগেও এখানকার সমস্যা সংগঠনের মাধ্য়মে তুলে ধরা হয়েছিল৷ মিলানের কেন্দ্রের সমস্যার কথা গণমাধ্যমেও জানানো হয়েছিল৷’’

সোমবার অফিসাররা লাইনে দাঁড়ানো জনতাকে লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে৷ পুলিশের সদর দপ্তরে আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্য নথি জমা দিতে শত শত ব্যক্তি অপেক্ষা করছিলেন৷ তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয় বলে জানায় পুলিশ। 

স্থানীয় গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ৭০০ জন অভিবাসী অপেক্ষা করছিলেন৷ একটি ছোট দল কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর লাইন ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করে। এরপর বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়৷ গোটা ইটালি থেকে অভিবাসীরা প্রতি সপ্তাহে পুলিশের দপ্তরে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে আসে বলে জানা গিয়েছে।

জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি

সংগঠনের নেতা ব়ান্দাজ্জো বলেন, ‘‘ইউনিয়ন জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে৷ অনেক দিন ধরে চলা এই পরিস্থিতির সমাধানে জরুরি হস্তক্ষেপের প্রয়োজন৷’’

তার কথায়, "সবার তরফে প্রচেষ্টা প্রয়োজন৷ পুলিশ সদর দপ্তর, স্থানীয় এবং জাতীয় স্তরে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপেরও দরকার৷ অভিবাসনের মতো জরুরি অবস্থা মোকাবেলা করতে উর্দিধারী পুরুষ এবং নারীদের এভাবে একা ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়৷ কারণ পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে।"

এলাকার পরিস্থিতি কেমন

ব়ান্দাজ্জো জানান, ‘‘তৃতীয় মোবাইল ইউনিটের পাশে একটি ‘ইম্প্রোভাইজড ক্যাম্প’ গড়ে উঠেছে৷ আগে এটি একটা সাধারণ সবুজে ঘেরা এলাকা ছিল৷ এখন সেখানে অফিস খোলার আগে রাত থেকে শুরু করে শত শত লোক ভিড় করে৷” 

কী সমস্যা হচ্ছে

তার দাবি, "এলাকাটির ঠিকমতো পরিকল্পনা হয়নি৷ সেখানে মানুষের রোজকার এই জমায়েত অনিবার্যভাবে বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা তৈরি করে। শতাধিক লোকের জন্য মাত্র তিনটি বহনযোগ্য শৌচাগার রয়েছে। শীতের রাতে উষ্ণতা পেতে অনেকে আগুন জ্বালায়৷ সেখান থেকে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও রয়েছে৷” 


আরকেসি/এআই (আনসা) 


 

অন্যান্য প্রতিবেদন