একক সিদ্ধান্তে নয় বরং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অন্যান্য দেশকে পাশে নিয়ে আশ্রয়প্রার্থীদের ইউরোপের বাইরের কোনো দেশে পাঠাতে চায় ডেনমার্ক৷ তাই রুয়ান্ডার সঙ্গে এই সংক্রান্ত আলাপ স্থগিত করেছে দেশটি৷
স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশটির সর্বশেষ সামাজিক গণতন্ত্রী সরকার আশ্রয়প্রার্থীদের ইউরোপের বাইরের কোনো দেশে তৈরি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিল৷ ২০২১ সালে এই সংক্রান্ত আইন গৃহীত হলেও কোনো দেশে এসব কেন্দ্র তৈরি করা হবে তা নির্দিষ্ট করা হয়নি৷ তাছাড়া সেই আইনে আশ্রয়ের আবেদন গৃহীত হওয়ার পরও সেই ব্যক্তিকে ডেনমার্ক না এনে সেদেশেই রাখার পরিকল্পনা করেছিল দেশটির তখনকার সরকার৷
পরবর্তীতে রুয়ান্ডা এবং কয়েকটি দেশের সঙ্গে এই সংক্রান্ত আলোচনাও শুরু হয়৷ কিন্তু গত ডিসেম্বরে দেশটিতে সামাজিক গণতন্ত্রীদের নেতৃত্বে নতুন বাম-ডান সরকার গঠিত হলে সেই আলোচনায় ভাঁটা পড়ে৷ শেষমেষ তা স্থগিতেরই ঘোষণা দিলেন দেশটির অভিবাসন এবং অন্তর্ভুক্তিকরণমন্ত্রী ক্যর ডুবভেল৷
তিনি বলেন, ‘‘রুয়ান্ডায় ড্যানিশ অভ্যর্থনাকেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে কোনো আলোচনা এখন করছি না আমরা৷’’
তবে তিনি যোগ করেন, ‘‘এটা একটি নতুন সরকার৷ আমাদের লক্ষ্য এখনো একই৷ তবে উপায় ভিন্ন হবে৷’’
নতুন সরকার চায় ইউরোপের বাইরে অভ্যর্থনাকেন্দ্রটি ইইউ বা অন্য আরো কয়েকটি দেশের সঙ্গে মিলে তৈরি করতে৷ সামাজিক গণতন্ত্রীদেরক্ষেত্রে এটা একটি বড় পরিবর্তন৷ কেননা দলটি এর আগে অন্য কোনো ইউরোপীয় দেশের সঙ্গে জোট বাধার প্রক্রিয়াকে ‘ধীরগতির এবং কণ্টকাকীর্ণ’ আখ্যা দিয়ে তা এড়াতে চেয়েছিল৷
উল্লেখ্য, গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ডেনমার্কের অভিবাসন নীতির উপর প্রভাব বিস্তার করে আসছেন উগ্র ডানপন্থিরা৷ এমনকি দেশটির সামাজিক গণতন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডরিকসনও ২০১৯ সালে দায়িত্বভার গ্রহণের পর ‘‘শূন্য শরণার্থী’’ নীতি গ্রহণ করেন৷
এআই/আরকেসি