২০২২ সালে জার্মানিতে আশ্রয় চাওয়া প্রায় ১৩ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ফেরত পাঠিয়েছে জার্মান সরকার৷
এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের হয় নিজ নিজ দেশে অথবা ইউরোপের যে দেশটিতে তারা প্রথম আশ্রয় আবেদন করেছিলেন সেই দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, ২০২২ সালে মোট ১২ হাজার নয়শ ৪৫জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷ ফেরত পাঠানোর এই সংখ্যা তার আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি বলে জানায় সরকার৷
এই মুখপাত্র আরো জানান, ২০২১ সালে মোট ১১ হাজার নয়শ ৮২ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল৷ তবে ২০২০ সালে মোট ২২ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল৷
উল্লেখ্য, জার্মানিসহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলো অভিবাসনপ্রত্যাশী যাদের আবেদন বাতিল হয়েছে কিংবা আশ্রয় আবেদনের যোগ্য নন অথবা কোনো অপরাধের সাথে যুক্ত তাদেরকে দেশে পাঠানোর ব্যাপারে তৎপর৷
পড়ুন: অনিয়মিত অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে ইইউর চাপ
এদিকে জার্মানির সংসদের বিরোধী দল সিডিইউ বলছে, ফেরত পাঠানোর এই সংখ্যা যে সংখ্যক আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন বাতিল হয়েছে সেই তুলনায় খুবই কম৷
তবে বামপন্থি দল ডি লিংকে বলছে, দেশে ফেরত পাঠানোর সংখ্যা না বাড়িয়ে এসকল অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য কোনো নীতিমালা গ্রহণ করা যেতে পারে যেন তারা জার্মান সমাজে অবদান রাখতে পারে এবং তাদের ভবিষ্যত গড়তে পারে৷
পরিসংখ্যান বলছে, জার্মানিতে মোট তিন লাখ চার হাজার তিনশ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে দেশ ছাড়ার কথা বলা হয়েছে৷ এর মধ্যে দুই লাখ ৪৮ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী ডাবলিন আইন অনুযায়ী তাদের প্রত্যাবাসনের নির্দেশ সাময়িকভাবে রহিত করেছে৷
জার্মানি: ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আশ্রয় আবেদন
নানা কারণেই অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ফেরত পাঠানো যেতে পারে৷ যেমন কেউ কেউ বহিষ্কারের আদেশ পেয়েছেন কিংবা থাকার অনুমতির মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে৷ তাছাড়া এমনও অনেকে আছেন যারা কখনোই আইন অনুযায়ী জার্মানিতে থাকার অনুমতি পাবেন না৷
আরআর/আরকেসি (ডিপিএ)