বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিদেশি আন্তজার্তিক শিক্ষার্থীদের কাজের সময়সীমা বৃদ্ধির চিন্তা করছে যুক্তরাজ্য। ছবি: রয়টার্স
বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিদেশি আন্তজার্তিক শিক্ষার্থীদের কাজের সময়সীমা বৃদ্ধির চিন্তা করছে যুক্তরাজ্য। ছবি: রয়টার্স

অর্থনীতিতে জোয়ার আনতে বিদেশি পড়ুয়াদের দীর্ঘ সময় কাজ করার অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবছে ব্রিটিশ সরকার৷ শূন্যপদ পূরণের মাধ্যমে এমন উদ্যোগ হতে পারে বলে জানিয়েছে দ্য টাইমস পত্রিকা৷

সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আতিথেয়তা ও খুচরা ব্যবসার মতো ক্ষেত্রগুলোতে ঘাটতি মোকাবেলায় যুক্তরাজ্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের আরো বেশি খণ্ডকালীন চাকরি নিতে উৎসাহিত করার উপায় খুঁজছে৷

আরও পড়ুন>>যুক্তরাজ্যে ‘নিখোঁজ’ অভিবাসী নাবালকদের নিয়ে নতুন তথ্য

বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাজের সময়সীমা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ৩০ ঘণ্টা করা বা এই সময়সীমা সম্পূর্ণরূপে তুলে নেয়ার বিষয়ে সরকার আলোচনা শুরু করছে৷

সরকারি সূত্র পত্রিকাটিকে জানিয়েছে, নির্দিষ্ট সময় কাজ করার বাধা সরিয়ে নেয়া এবং শিক্ষার্থীদের কাজ করতে উৎসাহিত করার জন্য তারা আর কী করতে পারে তা খতিয়ে দেখছেন মন্ত্রীরা৷

পড়ুন>>যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজারে অনিয়মিত অভিবাসীদের রুখতে ‘টাস্কফোর্স’

তবে বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে৷ সরকার এখনো একমত হতে পারেনি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে৷

একদিকে বিদেশি ছাত্রদের নিয়ে এমন পরিকল্পনা থাকলেও অন্যদিকে শ্রমবাজারে অনুমতি ছাড়া কর্মরত অনিয়মিত অভিবাসীদের জন্য ‘প্রতিকূল পরিবেশ’ সৃষ্টি করে নতুন করে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে চায় ব্রিটিশ সরকার। 

ব্রিটিশ অভিবাসন মন্ত্রী রবার্ট জেনরিক। ছবি: রয়টার্স
ব্রিটিশ অভিবাসন মন্ত্রী রবার্ট জেনরিক। ছবি: রয়টার্স


দেশটির অভিবাসন মন্ত্রী রবার্ট জেনরিক সম্প্রতি বলেছেন, “শুধুমাত্র যোগ্য ব্যক্তিরা কাজ করতে এবং পাবলিক সার্ভিসের সুবিধা নিতে পারবে।”

তিনি বলেন, এই প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করতে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যাবতীয় ক্ষমতা ব্যবহার করবে।

রবার্ট জেনরিক একটি নতুন টাস্কফোর্স গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। যা অভিবাসীদের ব্যাংক হিসাব, কর্মক্ষেত্রে, বাসস্থান এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স জনিত তথ্য ও কর্মকাণ্ড তদারকিতে আনার ব্যাপারে কাজ করবে। 

পাশাপাশি এটি ফুড ডেলিভারি বা খাবার সরবরাহসহ বিভিন্ন দৈনন্দিন পেশায় জড়িত থাকা অনিয়মিত অভিবাসীদের অবৈধ কাজ রোধেও ভূমিকা রাখবে। 


একেএ/এসিবি/এমএইউ/আরকেসি (রয়টার্স, ডেইলি মেইল ইউকে)


প্রথম প্রকাশ ডয়চে ভেলে ২৭ জানুয়ারি

 

অন্যান্য প্রতিবেদন