একজন আফগান নারী এবং তার নাবালিকা সন্তানকে শুধুমাত্র লিঙ্গপরিচয়ের ভিত্তিতে ডেনমার্কে প্রথম আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানে নারীদের পরিস্থিতি কঠিন থেকে কঠিনতম হয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই ড্যানিশ শরণার্থী কমিটি (ডিআরসি) একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই সপ্তাহের শুরুতে অনুমোদিত এই নতুন ব্যবস্থা থেকে উপকৃত হওয়া প্রথম আফগান নারী এই দুজন। ইরান থেকে ২০১৮ সালে ডেনমার্কে এসেছিলেন এই নারী। আফগান এই নারী শৈশব থেকে ইরানে থাকতেন। পরিবারের অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে সেখানে তার বিয়ে দেয়া হয়।
তিনি কখনো রাজনৈতিক বা ধর্মীয় সমিতি বা সংস্থার সদস্য হননি এবং রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ছিলেন না। তিনি উল্লেখ করেছেন, এখন আফগানিস্তানে ফিরলে তার স্বামীর পরিবার তাকে হত্যা করতে পারে। ডিআরসি রিপোর্ট করেছে, ইরানে তার বিয়ে দেয়া হয় কারণ তার পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র ছিল।
আবেদনকারী জানান, ডেনমার্কে তার বিবাহবহির্ভূত একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। স্বামীর সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। তিনি যদি আফগানিস্তানে ফিরে যান তাহলে ব্যভিচারের অভিযোগ এনে অমানবিক, কঠোরতম শাস্তি দেয়া হতে পারে তাকে। অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগে তাকে হত্যা করা হতে পারে। কারণ আফগানিস্তানে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের শাস্তি ভয়াবহ।
ড্য়ানিশ শরণার্থী কমিটি হল অভিবাসন ও ইন্টিগ্রেশন মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। এটি শরণার্থী এবং অভিবাসীদের আশ্রয়ের অবস্থা এবং বসবাসের অনুমতির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।

ডেনমার্কে বসবাসের অধিকার শুধুমাত্র লিঙ্গের উপর ভিত্তি করে দেয়া হবে, শুক্রবার শরণার্থী কমিটি এ তথ্য জানিয়েছিল। ইইউ দেশটি আফগান নারীদের জন্য নীতি পরিবর্তন করায় ডেনমার্কে বসবাসের আইনি অধিকার পেলেন এই নারী ও তার কন্যাসন্তান। ডেনমার্ক জানিয়েছে, ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট থেকে আশ্রয় প্রত্যাখ্যান করা সমস্ত আফগান নারী আবেদনকারীদের মামলাগুলি ফের চালু হবে।
আরকেসি/আরআর (ডিপিএ)