রুয়ান্ডা এবং গ্রিসসহ উত্তর ইটালির তুরিনের শরণার্থী শিবির সফর করেছিলেন ফরাসি শিল্পী জেআর। সেইসময় তার দেখা শিশুদের ছবি নিয়ে একটি প্রদর্শনী শুরু হয়েছে ইটালির তুরিন শহরে। প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ১৬ জুলাই পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) তুরিনের পিয়াজা সান কার্লোতে ইন্তেসা সানপাওলোর গ্যালারি ডি ইটালিয়ায় প্রদর্শনীটি শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানের মাধ্যমে, শিল্পী জেআর বর্তমান সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে একটিকে বেছে নিয়েছেন। সেটি হলো জোরপূর্বক অভিবাসন৷ তার কাজ বিশেষ করে শরণার্থী শিশুদের অভিজ্ঞতা নিয়েই।
ইনস্টাগ্রামে ১৭ লাখের বেশি ফলোয়ার রয়েছে জেআরের। আলোকচিত্র, পাবলিক আর্ট এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করেন এই আলোচিত শিল্পী।
ইটালিতে জেআরের প্রথম ব্যক্তিগত প্রদর্শনীটি চলতি বছরের ১৬ জুলাই পর্যন্ত চলবে৷
উদ্বোধনের আগে, তুরিনের মূল কেন্দ্রে জেআর-এর ছবিগুলি একটি বড় পরিসরে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) একটি বড় দল পাঁচ শরণার্থী শিশুর ছবিসহ সেই ব্যানার উন্মোচন করা হয়। পারফরম্যান্সের একটি ড্রোন শটের ভিডিও জেআর ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন।
শিল্পী ইউক্রেন, রুয়ান্ডা, মৌরিতানিয়া, কলম্বিয়া এবং গ্রিসের শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের সময় ওই শিশুগুলির দেখা করেছিলেন।
নিজের প্রদর্শনী নিয়ে কথা বলার সময় জেআর জানান, এই বিশ্বে শিল্পীদের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি জানান, তিনি প্যারিসের শহরতলীতে বড় হয়েছেন। তার কথায়, “আমার শিল্পের জন্ম সেখানে হয়েছিল।”
তার কোনো প্রথাগত প্রশিক্ষণ নেই। তবে তিনি দেয়ালে গ্রাফিত্তি আঁকার মাধ্যমে তার কাজ শুরু করেছিলেন।
তুরিনে জেআরের প্রদর্শনীটি প্রায় চার হাজার বর্গমিটারের একটি বিশাল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত (তুলনা করার জন্য: একটি সাধারণ ফুটবল মাঠ প্রায় সাত হাজার ১০০ বর্গমিটার)।
এতে একটি 'অপটিক্যাল ইলিউশন' রয়েছে। দর্শকদের সঙ্গে শিল্পীর যোগাযোগের মাধ্যম হলো তার কাজ।জেআরের এই কাজের মাধ্যমে দর্শক আবারো নতুন করে শরণার্থী শিশুদের কথা ভাবতে পারবেন।
ভিডিও, ছবি, কাঠের ভাস্কর্য এবং শিশুদের ছবিসহ বড় ক্যানভাসের একটি পটভূমি এবং একটি ভিডিও ইনস্টলেশন রয়েছে যার মাধ্যমে প্রদর্শনীতে আসা দর্শকেরা বিশ্বের অন্যান্য অংশে “যেতে” পারবেন। হয়তো কোথাও দর্শক উপলব্ধি করবেন, নিজের ঘর, নিজের দেশ ছেড়ে চলে আসার যন্ত্রণা। সেখানেই শিল্পীর উদ্দেশ্য সফল।
আরকেসি/এমএইউ (আনসা)