অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঠেকাতে সীমান্ত কঠোর করার মধ্য দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মানব পাচারকারীদের একটি ‘‘নতুন উপহার’’ দিতে যাচ্ছে বলে মনে করে অভিবাসীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা ইটালীয় এনজিওগুলো৷
১০ ফেব্রুয়ারি এক যৌথ সংবাদ বিবৃতিতে ইটালিকেন্দ্রিক এনজিও টাভোলো আসিলো ই ইমিগ্রাৎসিওনে জানিয়েছে, সীমান্ত সুরক্ষিত করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অধিকার আর আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য মানবিক, কার্যকর ও টেকসই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এক কথা নয়৷
এতে আরো লেখা হয়েছে, ‘‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের মূলনীতি মাথায় রেখে সংহতি, দায়বদ্ধতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ইউরোপীয় নেতাদের পক্ষে অভিবাসন পরিচালনার একটি উপায় বের করা খুব সম্ভব৷’’
২০১৫ সাল থেকে ইউরোপীয় অভিবাসন নীতিতে অদূরদর্শিতা বাড়ছে বলেও মনে করছে এনজিওগুলো৷
বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘৯ ফেব্রুয়ারি অভিবাসন ইস্যুতে বিশেষ বৈঠকে বসে ইউরোপীয় কাউন্সিল৷ সেখানে সীমান্ত কঠোর করার জন্য গত ২১ নভেম্বরের বৈঠকে যে সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হয় তা বাস্তবায়নে জোর দেয়া হয়৷ ২০১৫ সাল থেকে ইউরোপীয় অভিবাসন নীতিকে ক্রমশ রক্ষণশীল করা হচ্ছে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অদূরদর্শিতাও বাড়ছে৷’’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘প্রাচীর নির্মাণ, আকাশ থেকে সীমানা পর্যবেক্ষণসহ নানা উদ্যোগের জন্য অর্থায়ন এবং সীমান্তে নজরদারি আরো বাড়ানো হলেও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঠেকানো কঠিন৷ কারণ, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তারা ইউরোপে নিরাপত্তার খোঁজে আসেন৷’’
এনজিওগুলো মনে করে, ইউরোপীয় নেতাদের প্রস্তাবিত কঠোর সীমান্ত সুরক্ষা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জীবনকে আরো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলবে৷ আর তাতে মানবপাচারকারীরা আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে৷ মানবপাচারে বিপজ্জনক সব পথ খুঁজে বের করবে৷ যার পরিণতি ভালো কিছু বয়ে আনবে না৷
যৌথ বিবৃতি দেয়া এনজিওগুলো মধ্যে আছে: আ বুয়ন দিরিত্তো, এসিএলআই, অ্যাকশন এইড, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইটালিয়া, এআরসিআই, ক্যাসা দেই দিরিত্তো সোশায়ালি, সিআইইএস, সিআইআর, সিএনসিএ, কমিউনিতা পাপা গিওভানি ২৩, ইমার্জেন্সি,ইউরোপাসিলো, ফোরাম পার ক্যামবিয়ার আইওরডিন কোস, লেগাম্বিয়া, মোভিমেন্তো ইটালিয়ানি সেনজা সিত্তাডিনানহা, অক্সফাম, ও রিফিউজি ওয়েলকামসহ আরো বেশ কিছু বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা৷
টিএম/এআই