ইউরোপে আশ্রয় পেতে গিয়ে ইউক্রেনীয় নয় এমন শরণার্থী ও শরণার্থী শিশুরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন৷
বিশ্বব্যাপী শিশুদের সুরক্ষা ও অধিকার নিয়ে কাজ করা এই আন্তর্জাতিক সংস্থাটি ইউরোপের এমন আচরণকে ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড’ বা ‘‘দ্বৈতনীতি’’ বলেও মন্তব্য করেছে৷
ইউরোপের ১৩টি দেশের অভিজ্ঞতা, শিশুদের সাক্ষাৎকার এবং গবেষণার ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করে সেভ দ্য চিলড্রেন৷ প্রতিবেদনে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত এবং ইউরোপের দেশগুলোর নীতিমালার ভিন্নতার কারণে শিশুদের ওপর কী প্রভাব পড়ছে তাও তুলে ধরা হয়৷
পড়ুন: জার্মানিতে বাড়ছে শরণার্থী বিরোধী মনোভাব
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন থেকে আসা শরণার্থী পরিবারেরা বৈধভাবে ইউরোপের প্রবেশ করতে পারে এবং সার্বিক সুরক্ষা পেয়ে থাকে৷ কিন্তু অন্যান্য দেশের শরণার্থীদের বেলায় প্রায়ই ভিসার আবেদন বাতিল করা হয়৷ এমনকি তারা ইউরোপে আসার পথে নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে৷
সংস্থাটি জানায়, ইউক্রেনের শরণার্থী শিশুরা কোনো ধরনের সহিংসতা বা ইউরোপের সীমান্ত থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনার সম্মুখীন হয় না৷ তাছাড়া তাদেরকে একটি নিরাপদ দেশে আশ্রয় নেওয়ার জন্য মানবপাচারকারীদের কাছেও যেতে হয় না৷
ইউক্রেনের শরণার্থীদের যেভাবে সুযোগ দেয়া হচ্ছে, সেটাকে ইউরোপের অভিবাসন নীতির ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করার আহ্বান জানায় সংস্থাটি৷
পড়ুন: ইটালিতে অভিবাসীদের শোষণের অভিযোগ বাংলাদেশি মধ্যস্থতাকারীর বিরুদ্ধে
সংস্থাটির দাবি, ইউক্রেন শরণার্থীদের বেলায় ইউরোপ যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তা দেখে বুঝা যায়, শিশুদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় একটি ব্যবস্থা তৈরিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহযোগিতা করতে পারে৷ কিন্ত ‘‘ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টারত অভিবাসনপ্রত্যাশীরা যে মারা যেতে পারেন সে বিষয়টি মেনে নিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷’’
এদিকে সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা শিশুদেরকে নিরাপদ দেশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানায় সেভ দ্য চিলড্রেন৷ তাছাড়া শরণার্থী শিশুদেরকে চলাফেরার স্বাধীনতা ও সুরক্ষা প্রদানের পশাপাশি তাদের জীবনকে নতুন করে সাজাতে সহযোগিতা করতে হবে বলেও সংস্থাটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করে৷
আরআর/টিএম (কেএনএ)