পোলিশ-বেলারুশ সীমান্তবর্তী জঙ্গলে অভিবাসনপ্রত্যাশী এক ইথিওপিয়ান নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে৷
রোববার ওই সীমান্তের বিয়ালোয়াইজা বন থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়৷ চলতি বছর এ নিয়ে এই সীমান্তে পঞ্চমমবারের মতো মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷
বিষয়টি তদন্ত করছেন পোল্যান্ডের মানবাধিকার কমিশন৷
২৮ বছর বয়সি ইথিওপিয়ান ওই নারী অভিবাসী গত এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ ছিলেন৷ পোডলাস্কি হিউম্যানিট্যারিয়ান ইমার্জেন্সি সার্ভিসের এক কর্মী তার মরদেহটি জঙ্গলে দেখতে পান৷
তিনি জানান, শারিরীকভাবে দুর্বল থাকায় ওই নারীকে বনে একা রেখে তার স্বামী ও আরেকজন পোলিশ পুলিশের কাছে সাহায্যের আশায় যান৷ কোনো সাহায্যও পাওয়া যায়নি, ওই দুজন ফিরেও আসেনি৷ কারণ পোলিশ সীমান্তরক্ষীরা তাদের বেলারুশ সীমান্তে ফেরত পাঠিয়ে দেয়৷
পরে ওই নারীর স্বজনরা তার নিখোঁজ হওয়ার খবরটি জানায়৷ এসময় জ্যাকেট, লাল সোয়েটার ও টুপি পরা একটি ছবিও পোডলাস্কির কর্মীদের পাঠানো হয়৷ আশাপাশের হাসপাতালসহ নানা জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর জঙ্গলে তার মরদেহটি পাওয়া যায়৷
‘চেয়েও মেলেনি সাহায্য’
সংস্থাটি দাবি করেছে যে, পোলিশ কর্তৃপক্ষ ওই নারীকে তো উদ্ধার করেইনি বরং যারা সাহায্য চাইতে গিয়েছিল তাদের উল্টো ফেরত পাঠানো হয়েছে৷
স্বেচ্ছাসেবী কাতারজিনা মাজুরকিভিচ-বিলোক বলেন, ‘‘আমি মনে করি এটা খুবই নির্মমতা৷ একজন মানুষ কোনো সাহায্য ছাড়া শীতের অন্ধকারে জঙ্গলে মারা গেছেন৷ সাহায্য চাওয়ার পরও তাকে উদ্ধার করা হলো না৷’’
তদন্ত কমিটি গঠন
নারীর মরদেহ উদ্ধারের পর বিষয়টি নিয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে পোলিশ-বেলারুশিয়ান সীমান্তে অভিবাসীদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা গ্রুপা গ্রানিকা৷
পোল্যান্ডের মানবাধিকার কমিশনারের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ তার প্রেক্ষিতে সীমান্তরক্ষী ও পুলিশের কাছে ঘটনার ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে৷
ইথিওপিয়ান এই নারীসহ চলতি বছর সীমান্তে মোট পাঁচজন অভিবাসীর মারা গেছেন৷ নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা যায়নি৷
২০২১ সালে মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকা থেকে আসা বিপুলসংখ্যক অভিবাসী বেলারুশ হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল৷ কিন্তু পোল্যান্ড, লাটভিয়া এবং লিথুয়ানিয়ার সীমান্তে তাদের আটকে দেয়া হয়৷ মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, তাদের অনেককে বেলারুশে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷
টিএম/আরআর (ইনফোমাইগ্রেন্টস)