ইটালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, রোববার ইটালি উপকূলে সংগঠিত মর্মান্তিক নৌকাডুবির ঘটনায় গ্রিসের কট্টর সীমান্ত নীতির প্রভাব থাকতে পারে। তার মতে, অভিবাসীরা রুট পরিবর্তন করে গ্রিসে না গিয়ে ইটালিতে আসার চেষ্টা করছে।
ইউরোপে জুড়ে বর্তমানে সর্বত্র আলোচনায় রোববার ইটালি উপকূলে নৌকাডুবিতে অভিবাসী নিহতের ঘটনা। এবার এই ঘটনায় গ্রিসের কট্টর অভিবাসন নীতির প্রভাব থাকার দাবি করেছেন ইটালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেডোসি।
ইটালির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আরএআই-এর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে পিয়ান্তেডোসি এই দাবি করেন।
সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কেন অভিবাসীরা তুরস্ক থেকে সমুদ্রপথে গ্রিসের পরিবর্তে ইটালির দিকে যাত্রা করছে।
আরও পড়ুন>>ভূমধ্যসাগরে বাধার মুখে উদ্ধারকারী দল
উত্তরে তিনি বলেন, এথেন্স কর্তৃপক্ষের কঠোর সীমান্ত নীতিগুলো সর্বশেষ অভিবাসী নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় প্রভাব রাখতে পারে। কারণ গ্রিক সীমান্তে কড়া নিরাপত্তার কারণে অভিবাসীরা গ্রিসের পরিবর্তে ইটালিতে যাত্রা করছে। যার ফলে সর্বশেষ ৬০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে।

পিয়ান্তেডোসি আরও যোগ করেন, “গ্রিস এই রুটে অভিবাসী আগমন ঠেকাতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ নীতি বাস্তবায়ন করেছে। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে যাচাই-বাছাইয়ের অধীনে থাকা পুশব্যাকগুলোর ঘটনাও উল্লেখযোগ্য।”
“বেঁচে যাওয়া অভিবাসীদের এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সম্ভবত গ্রিক নীতি সরাসরি ইটালিতে আসার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেছে,” যোগ করেন মন্ত্রী।
পড়ুন>>বলকান হয়ে ইউরোপ: ৬ দেশে সোয়া ৩ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী
পশ্চিম তুর্কির বন্দর শহর ইজমির থেকে রওনা হওয়ার বেশ কয়েক দিন পরে আলোচিত এই অভিবাসী নৌকাটি দক্ষিণ ইটালির কাছে বিধ্বস্ত হয়।
এ ঘটনায় ১৬ শিশুসহ কমপক্ষে ৬৭ জন নিহত হয়েছে। নৌকায় থাকা অনেক লোক এখনও নিখোঁজ রয়েছে। দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা বলেছেন, নৌকাটিতে ২০০ জন যাত্রী থাকতে পারে।
ইটালির পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে একের পর জাহাজডুবির ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে গ্রিস৷ এসব ঘটনায় শিশুসহ অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন৷
আরও পড়ুন>>সমুদ্রে দুর্ঘটনার শিকার ৬৭ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ ইটালিতে
সম্প্রতি তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে ইউরোপমুখী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল শুরু হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছে গ্রিস৷ তাই অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে নিজেদের সীমান্ত জোরদার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে গ্রিক কর্তৃপক্ষ৷
এমএইউ/এআই (রয়টার্স)