জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা করে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশী ও আশ্রয়প্রার্থীদের আটক করে দ্রুত তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে চায় যুক্তরাজ্য৷ আর এ জন্য নতুন একটি আইন করতে চলেছে দেশটির রক্ষণশীল সরকার৷ মঙ্গলবারই এ সংক্রান্ত বিলটি প্রস্তাব করার কথা রয়েছে৷
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা করে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশী ও আশ্রয়প্রার্থীদের আটক করে দ্রুত তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে চায় যুক্তরাজ্য৷ আর এ জন্য নতুন একটি আইন করতে চলেছে দেশটির রক্ষণশীল সরকার৷ মঙ্গলবারই এ সংক্রান্ত বিলটি প্রস্তাব করার কথা রয়েছে৷
ব্রেক্সিটের সময় সীমানায় নজরদারি কঠোর করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও অনিয়মিত অভিবাসীর আগমন ঠেকাতে পারেনি দেশটি৷ গত বছরেও ৪৫ হাজার অনিয়মিত অভিবাসী এসেছে যুক্তরাজ্যে৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ওপরও চাপ তৈরি হয়েছে৷
ডেইলি মেইলের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার প্রস্তাব করতে যাওয়া বিলটিতে অনিয়মিত পথে যুক্তরাজ্যে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের আটক এবং তাদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টিও থাকবে৷
বিলটি আইন আকারে পাশ হলে, অনিয়মিত অভিবাসীরা যুক্তরাজ্যে এসে আশ্রয় চাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন৷ এমনকি, তাদের দেশটিতে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হবে৷ অর্থাৎ তারা আর কখনো যুক্তরাজ্যে যেতে পারবেন না৷
গত বছর, যুক্তরাজ্যে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের একটি অংশ রুয়ান্ডায় পাঠানোর একটি উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার৷ কিন্তু আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে সেটি এখনও বাস্তবায়ন করতে পারেনি দেশটি৷
রোববার নতুন এই বিলটির সপক্ষে স্বরাষ্ট্র সচিব সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান বলেছেন, ‘‘ব্রিটেনকে অবশ্যই নৌকা আসা বন্ধ করতে হবে৷’’
তিনি বলেন, ‘‘এ আইনের মধ্য দিয়ে যদি কেউ অনিয়মিত পথে যুক্তরাজ্যে আসেন, তাহলে তাকে আটক করে দ্রুত তার নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে৷’’
যুক্তরাজ্যে অভিবাসনে আইনি এবং নিরাপদ পথেই আসতে হবে বলেও মন্তব্য করেন দেশটির স্বরাষ্ট্র সচিব৷
ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের থামাতে ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে আরো আলাপ-আলোচনা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের সচিব ক্রিস হিটন-হ্যারিস৷
এদিকে, যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের দৌড়ে এগিয়ে আছে বিরোধী দল লেবার পার্টি৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক চান, তার দলকে জিতিয়ে আনতে৷ আর সে জন্য চ্যানেল পেরিয়ে আসা অনিয়মিত অভিবাসীদের ঠেকাতে বেশি জোর দিচ্ছেন তিনি৷
টিএম/আরকেসি (এএফপি)