স্পেন-ফ্রান্স সীমান্তের একটি অংশ। ছবি: ইনফোমাইগ্রেন্টস
স্পেন-ফ্রান্স সীমান্তের একটি অংশ। ছবি: ইনফোমাইগ্রেন্টস

স্পেন-ফ্রান্স সীমান্তের বায়োন অঞ্চলে এক ব্যক্তিকে আবারও মানবপাচারের দায়ে আদালতে তোলা হবে। তিনি স্পেন ও ফ্রান্সের মধ্যে অভিবাসী পরিবহনে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। গত বছর একই আদালত তাকে মানবপাচাররে দায়ে আট মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।

ফরাসি গণমাধ্যম ফ্রান্স ব্লু জানিয়েছে, চলিশ বছর বয়সের কাছাকাছি একজন আইভোরি কোস্টের নাগরিককে মঙ্গলবার ফ্রান্সের বায়োন শহরের বিচারিক আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।

তাকে অবৈধ অভিবাসী চোরাচালানকারীদের একটি বিশাল নেটওয়ার্কের প্রধান হিসাবে সন্দেহ করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে তাকে স্পেন থেকে গ্রেপ্তার করে ফ্রান্সের পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন>>স্পেনে অভিবাসন: জালিয়াত চক্রের ৯ সদস্য গ্রেপ্তার

অভিযুক্ত ব্যক্তি ইতিপূর্বে ফরাসি বিচার বিভাগের কাছে নথিভুক্ত। কারণ গত বছর তাকে ৮ মাসের কারাদণ্ড এবং পাঁচ বছরের জন্য ফরাসি ভূখণ্ডে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।

সন্দেহভাজন উত্তর স্পেনের বাস্ক কান্ট্রির গুইপুজকোয়া প্রদেশে বাস করছিলেন। প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত দিয়ে বিচ্ছিন্ন দুইi শহর ইরুন এবং বায়োনে একদল চালকের মাধ্যমে অভিবাসীদের পরিবহন রিচালনা করছিলেন তিনি।

অভিবাসীদের ‘জনপ্রিয়’ রুট

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই অঞ্চলে আরো মানপাচারকারী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে, একই এলাকায় অভিবাসীদের পরিবহনের দায়ে বায়োনের ফৌজদারি আদালত ৪৯ বছর বয়সি এক স্থানীয় নাগরিককে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়।

এই রুটটি স্পেন থেকে আসা অভিবাসীদের কাছে ফ্রান্স বা উত্তর ইউরোপে পৌঁছানোর জন্য খুবই জনপ্রিয়।

পড়ুন>>কর্মমুখী শিক্ষা নিয়ে থাকা যাবে স্পেনে

কিন্তু সীমান্তের বর্ধিত সামরিকীকরণ নির্বাসিতদের ঝুঁকিপূর্ণ পথে যেতে বাধ্য করছেন। কেউ কেউ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁতার কেটে বিদোসোয়া নদী পার হওয়ার চেষ্টা করেন।

ফ্রান্স-স্পেন সীমান্তে অবস্থিত বিদোসোয়া নদী। ছবি: ইনফোমাইগ্রেন্টস
ফ্রান্স-স্পেন সীমান্তে অবস্থিত বিদোসোয়া নদী। ছবি: ইনফোমাইগ্রেন্টস


বিদাসোয়া নদী স্পেন এবং ফ্রান্সের মধ্যে অবস্থিত প্রাকৃতিক সীমান্ত। গত বছরের ১৮ জুন এই অঞ্চলে ২৫ বছর বয়সি এক গিনির নাগরিকের মৃতদেহ পানিতে পাওয়া যায়।

গত দেড় বছরে এই সীমান্ত পার হতে গিয়ে অন্তত ১০ জন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। 


এমএইউ/টিএম (ফ্রান্সব্লু)






 

অন্যান্য প্রতিবেদন