সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগরীয় রুটে চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে অনিয়মিত সীমান্ত পারাপার দ্বিগুণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় সীমান্ত ও উপকূল রক্ষা বিষয়ক সংস্থা ফ্রন্টেক্স।
ফ্রন্টেক্স জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় রুটে এ বছরের প্রথম দুই মাস অর্থাৎ জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে মোট ১১ হাজার ৯৫১ জন অনিয়মিত হিসেবে ইউরোপের সীমান্তে প্রবেশ করেছেন। যা ২০২২ সালের তুলনায় ১১৮ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে এ বছরের প্রথম দুই মাসে ২৮ হাজার ১৩০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী অনিয়মিতভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে বলে জানিয়েছে ফ্রন্টেক্স। এই সময়ে সবচেয়ে সক্রিয় ছিল সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগরীয় রুটটি। এই পথ ধরে জানুয়ারিতে আসেন ছয় হাজার ৯৮৮ জন এবং ফেব্রুয়ারিতে আসেন ১১ হাজার ৯৫১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী।
ফ্রন্টেক্স বলছে, এই রুটে সবচেয়ে বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী এসেছেন আইভোরি কোস্ট, গিনি এবং পাকিস্তান থেকে।
আরো পড়ুন: ইউরোপের সীমান্তে পুশব্যাক বন্ধ করা হবে: ফ্রন্টেক্স প্রধান
জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ইউরোপের পূর্বপ্রান্তীয় সীমান্ত দিয়েও অনিয়মিত অভিবাসীদের আগমণ বেড়েছে। গত দুই মাসে এ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছেন ৮৫৬জন অভিবাসনপ্রত্যাশী। ২০২২ সালের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, এই সংখ্যা ১৪৫ শতাংশ বেশি। এই রুটে বেশি এসেছেন ইউক্রেন, ইরান ও ইরাকের নাগরিকরা।
যুক্তরাজ্যের দিকে গেছেন পাঁচ হাজার ৬২২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী। তাদের মধ্যে আফগান, ইরাকি এবং ইরিত্রিয়ার নাগরিকদের সংখ্যা বেশি।
পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় রুটেও আগের বছরের তুলনায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগমণ কিছুটা বেড়েছে। প্রথম দুই মাসে এই রুট দিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছেন তিন হাজার ৯৮১ জন। এই রুটের অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বেশিরভাগ ছিলেন সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং ফিলিস্তিনের নাগরিক।
আরো পড়ুন: সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগর পাড়িতে বাংলাদেশিরা তৃতীয়
পশ্চিম আফ্রিকান রুটে অবৈধ সীমান্ত পাড়ি দেয়ার সংখ্যায সবচেয়ে কমেছে। গত বছর তুলনায় এবার এই রুটে ৬৮ শতাংশ কম আগমন নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই রুট দিয়ে এক হাজার ৭৭১ জন অনিয়মিত অভিবাসী এসেছেন। তারা মূলত মরক্কো, আইভরি কোস্ট এবং সেনেগালের নাগরিক।
গেল বছর অনিয়মিত সীমান্ত পারাপারে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় পশ্চিম ভূমধ্যসাগরীয় রুটটি। তবে এবার সেই প্রবণতা কিছুটা কমেছে। জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারিতে এই রুট দিয়ে এক হাজার ৯৯ জন অনিয়মিতভাবে এসেছেন। যা ২০২২ সালের তুলনায় ৩৮ শতাংশ কম। এ বছর মরক্কো, আলজেরিয়া এবং সেনেগালের নাগরিকেরা মূলত এই রুটটি ধরে এসেছেন ইউরোপে।
আরো পড়ুন: সীমান্তে কড়া পাহারা সত্ত্বেও ইইউতে বেড়েছে অনিয়মিত অভিবাসী
পশ্চিম বলকান রুটেও অনিয়মিত অভিবাসীদের আগমণ কিছুটা কমেছে। এ বছরের প্রথম দুই মাসে এই রুটটি দিয়ে আট হাজার ৩৯৪ অভিবাসনপ্রত্যাশী অনিয়মিতভাবে সীমানা পাড়ি দিয়েছেন।
তবে এই সংখ্যাটি ২০২২ সালের তুলনায় ২৮ শতাংশ কম। এই দুই মাসে যারা এসেছেন, তাদের মধ্যে ছিলেন সিরিয়া, আফগানিস্তান ও তুরস্কের নাগরিকেরা।
টিএম/এএমইউ