ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্র কমিশনার ইলভা ইওহানসন আবারও জোটভুক্ত দেশগুলোতে অনেক অভিবাসী দরকার বলে জানিয়েছেন৷ তবে অনিয়মিত পথে ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে মৃত্যু ঠেকাতে নিরাপদ এবং বৈধ পথ সৃষ্টিতে বিনিয়োগে গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি৷
অভিবাসন চুক্তি তৈরিতে গত তিনবছর ধরে কাজ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)৷ তাসত্ত্বেও সেটা এখনো বাস্তবায়ন করা যায়নি৷ এই বিষয়ে কিছুদিন আগেই জোটভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ ইইউ কমিশনার মারগারিটিস শিনাস এবং ইলভা ইওহানসন মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন যে সেই বৈঠকে জোটের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে সদস্য রাষ্ট্রগুলো৷
শিনাস জানান যে ইইউর অভিবাসন ব্যবস্থাপনার একটি সাধারণ সংস্কৃতি গড়ে তোলা প্রয়োজন এবং অনিয়মিত অভিবাসীদের আরো দ্রুত ফেরত পাঠানোর নীতি কার্যকরের পাশাপাশি ডাবলিন সমঝোতাকে সেটির আসল রূপে বাস্তবায়নও জরুরি৷
ইওহানসন অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে আবারো জানিয়েছেন যে ইইউ জোটের অভিবাসী দরকার, তবে সেটা বৈধ এবং নিয়মতান্ত্রিক হতে হবে৷
অনিয়মিত পথে ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রাণহানির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে ‘‘মানবপাচারকারীরা যাতে বিপজ্জনক নৌকায় করে ইউরোপমুখী যাত্রার আয়োজন বিক্রি করতে না পারে সেটা রোধে আমাদের কাজ করতে হবে৷’’
গত সপ্তাহান্তেও মধ্য এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীপ্রত্যাশী নৌকাডুবির ঘটনায় অনেকের প্রাণ গেছে৷ একটি ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতায় সমন্বয় না ঘটায় লিবিয়ার খোঁজ এবং উদ্ধার এলাকায় থাকা আন্তর্জাতিক জলসীমায় দুর্ঘটনার পড়া একটি নৌকার অভিবাসীরা ৪০ ঘণ্টা উদ্ধার হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন৷
ইটালির গণমাধ্যম জানিয়েছে, এক পর্যায়ে ১৭ বাংলাদেশিকে উদ্ধার সম্ভব হলেও সেই নৌকার ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন৷ ধারনা করা হচ্ছে তারা সবাই মারা গেছেন৷
কমিশনার ইওহানসন অভিবাসীদের জীবনরক্ষাকে প্রথম প্রাধান্য বলে মনে করেন৷ এজন্য তিনি বৈধপথে অভিবাসনে ইইউর বিনিয়োগ করা উচিত বলে মত দিয়েছেন৷
এআই/কেএম