২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে জার্মানির স্কুলগুলোতে নথিভুক্ত পড়ুয়া বেড়েছে। ছবি:ইয়েনস শ্ল্যুটার /এএফপি/গেটি ইমেজ
২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে জার্মানির স্কুলগুলোতে নথিভুক্ত পড়ুয়া বেড়েছে। ছবি:ইয়েনস শ্ল্যুটার /এএফপি/গেটি ইমেজ

ছয় বছর পর প্রথমবার জার্মানিতে স্কুলপড়ুয়ার সংখ্যা বেড়েছে৷ রুশ আগ্রাসনের ফলে ইউক্রেন থেকে আসা অভিবাসীদের কারণে সংখ্যাটা বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷

ফেডারেল পরিসংখ্যান অফিস ডেস্টাটিস বুধবার বলেছে, ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে জার্মানির স্কুলগুলোতে নথিভুক্ত পড়ুয়া বেড়েছে।

প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুসারে, এটি ২০২১-২০২২ নথিভুক্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যার তুলনায় ১.৯% বেশি।

২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের পর এই প্রথম পড়ুয়াদের সংখ্যা এতটা বেড়েছে৷

এই শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান কী?

প্রায় এক কোটি ১১ লাখ শিক্ষার্থীর নাম সাধারণ এবং বৃত্তিমূলক স্কুলগুলোতে নথিভুক্ত হয়েছে৷ এছাড়াও যে সব স্কুলে স্বাস্থ্যসেবা খাতে চাকরির জন্য শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সেখানেও পড়ুয়ার সংখ্যা বেড়েছে।

সাধারণ স্কুলে পড়ুয়াদের সংখ্যা ২.৯% বৃদ্ধি পেয়ে ৮৭ লাখে এসে পৌঁছেছে। তবে বৃত্তিমূলক শিক্ষার স্কুলে নথিভুক্ত ছাত্রদের সংখ্যা ১.৮% কমে ২৩ লাখে এসে দাঁড়িয়েছে৷

জনসংখ্যা ও অভিবাসনকে পড়ুয়াদের সংখ্যা বৃদ্ধির সম্ভাব্য কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে ডেস্টাটিস । যে সব পড়ুয়াদের বয়স পাঁচ থেকে ২০ বছরের মধ্যে, তাদের সংখ্যা আগের শিক্ষাবর্ষের তুলনায় ০.৮ % বেশি।

অভিবাসন সম্ভবত একটি কারণ

চলতি স্কুল শিক্ষাবর্ষের প্রায় ১৪% শিক্ষার্থীর বিদেশি পাসপোর্ট রয়েছে বলে জানিয়েছে ডেস্টাটিস। পূর্ববর্তী স্কুল বছরের তুলনায়, এটি ১৮% বেড়েছে।

তারা জানিয়েছে, "রুশ হামলার ফলে ইউক্রেনের নাগরিকত্ব আছে এমন অভিবাসী পড়ুয়াদের কারণে সম্ভবত সংখ্যাটা প্রাথমিকভাবে এত বেড়েছে৷ "

অফিস জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত তাদের কাছে যে প্রাথমিক তথ্য আছে, তা দিয়ে স্কুল পড়ুয়াদের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রমাণ করা যায়নি। তবে ডেস্টাটিস বলেছে, জার্মানিতে স্কুল পরিসংখ্যানের চূড়ান্ত পর্যায়ে ইউক্রেনীয় পাসপোর্টসহ পড়ুয়াদের নির্দিষ্ট সংখ্যা নথিভুক্ত করা হবে৷ তখন তথ্য জানা যাবে৷

জার্মানিতে কয়েক দশক ধরে অভ্যন্তরীণ জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ যদিও এই জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে নেতিবাচক হিসাবেই দেখছেন অনেকে৷ 

অভিবাসন জনসংখ্যার পরিসংখ্যানকে স্থিতিশীল রাখে৷ নির্দিষ্ট কোনো বছরে জনসংখ্যার বৃদ্ধির কারণও এই অভিবাসন৷


আরকেসি/টিএম (এএফপি, ডিপিএ)

 

অন্যান্য প্রতিবেদন