২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন আট লাখ ৮১ হাজার ২০০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী৷ যা ২০২১ সালের তুলনায় ৬৪ শতাংশ বেশি৷
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট বৃহস্পতিবার এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
টানা দুই বছর আশ্রয় আবেদন বেড়েছে বলেও জানিয়েছে ইউরোস্ট্যাট৷ ২০২১ সালে, আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্য পাঁচ লাখ ৩৭ হাজার ৪০০ জনের আবেদন জমা পড়েছিল। ২০২০ সালে অবশ্য বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে আবেদন কমে গিয়েছিল৷ ওই বছর আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেন চার লাখ ১৭ হাজার ১০০ জন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে এমন লাখো আবেদন জমা পড়েছিল ২০১৫-২০১৬ সালের দিকে৷ সিরিয়ায় যুদ্ধের কারণে তখন বছরে দশ লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
২০২২ সালে একই সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য রাষ্ট্রগুলো ৪০ লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে৷ রুশ আক্রমণ থেকে বাঁচতে ইউরোপের একাধিক দেশে আশ্রয় নিয়েছেন লাখো ইউক্রেনীয় শরণার্থী৷ অবশ্য তাদের বিশেষ সুরক্ষা দিয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলো৷
ইইউর সদস্য দেশগুলি সে ক্ষেত্রে যদিও অস্থায়ী জরুরি নিয়ম গ্রহণ করেছে৷ কারণ রুশ আগ্রাসনের পর থেকে গত এক বছরে মানুষের আগমন বেড়েই চলেছে৷ তবে সে ক্ষেত্রে মোট দুই বছরের জন্য ‘এক্সটেনশন’ সম্ভব। প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি আশ্রয় প্রক্রিয়া এড়াতে বিপুল সংখ্যক শরণার্থীদের আবেদন দ্রুত বিবেচনা করতে হবে৷
২০১৩ থেকে আশ্রয় আবেদনের শীর্ষে সিরীয়রা
২০২২ সালে এক লাখ ৩১ হাজার ৯৭১ জন সিরীয় নাগরিক আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নে জমা পড়া আশ্রয় আবেদনের ১৫ শতাংশই দেশটির নাগরিকদের৷
দ্বিতীয় অবস্থানে আছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তানের নাম৷ তালেবান ক্ষমতায় এলে, দেশটির অনেক নাগরিক ইউরোপে আসার চেষ্টা করছে৷ গত বছর দেশটির এক লাখ ১৩ হাজার ৪৯৫ জন নাগরিক আশ্রয় চেয়ে (১৩ শতাংশ) আবেদন করেছেন৷
ভেনেজুয়েলা এবং তুরস্ক থেকে যথাক্রমে ৫০ হাজার ৫০ জন এবং ৪৯ হাজার ৭২০ জন আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন৷ যা মোট আবেদনের ছয় শতাংশ৷
আশ্রয় আবেদন সবচেয়ে বেশি জমা পড়েছে জার্মানিতে৷ দুই লাখ ১৭ হাজার ৭৩৫টি আবেদন জমা হয়েছে দেশটিতে৷ যা মোট আবেদনের প্রায় ২৫ শতাংশ৷ ফ্রান্সে ১৬ শতাংশ, স্পেনে ১৩ শতাংশ, অস্ট্রিয়ায় ১২ শতাংশ এবং ইটালিতে নয় শতাংশ আশ্রয়-আবেদন জমা পড়েছে৷
আরকেসি/টিএম (ডিপিএ)