গ্রিসে আশ্রয় নেওয়া অভিভাবকহীন অভিবাসী শিশুদের আর গ্রহণ করবে না ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য কোনো দেশ। অভিভাবকহীন শিশুদের গ্রিস থেকে অন্য দেশগুলো স্থানান্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে যে প্রকল্পটি ছিল, তা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে মঙ্গলবার।
গ্রিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিবাসী শিশুদের স্থানান্তরে এই প্রক্রিয়াটি শুরু হয় ২০২০ সালে। সোমালিয়া, গাম্বিয়া এবং পাকিস্তানের ১৫ জন অভিভাবকহীন অভিবাসী শিশুকে পর্তুগালের লিসবনে পাঠাতে একটি বিমানে তোলার মধ্য দিয়ে প্রকল্পটির যাত্রা। শুরুর পর থেকে কর্মসূচিটি বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ১৬টি দেশে স্থানান্তরিত মোট অভিবাসী শিশুর সংখ্যা এক হাজার ৩৬৮।
আরো পড়ুন: অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসীদের জন্য অভিভাবক খুঁজছে ইটালি
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য একটি অভিন্ন অভিবাসন নীতি বা আশ্রয় ও অভিবাসন প্যাক্ট প্রণয়নের কথা থাকলেও, তা এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি ইউরোপীয় কমিশন। সেজন্য কিছুটা ক্ষুব্ধ গ্রিস। কারণ সেই নীতি অনুসারে অভিবাসী স্থানান্তরের ক্ষেত্রে গ্রিস, ইটালি ও স্পেনকে বিশেষ কোটা সুবিধা দেওয়ার কথা রয়েছে। কারণ, এই দেশগুলোতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ভিড় সবচেয়ে বেশি।
আরো পড়ুন: উপকূলরক্ষীদের জন্য ৫০টি জাহাজ কিনছে গ্রিস
অভিবাসন নীতি চূড়ান্ত হওয়ার আগে, এ ধরনের নতুন প্রকল্প গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে এথেন্স ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির অভিবাসন বিষয়ক উপমন্ত্রী সোফিয়া ভল্টেপসি।
এথেন্সের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “শরণার্থী এবং অভিবাসনের বোঝা গ্রিসের পক্ষে এককভাবে বহন করা সম্ভব নয়। অভিভাবকহীন যতো শিশু আমাদের দেশে আসে, তাদের সবার দায়িত্ব আমাদের কাঁধে তুলে দেওয়াটা যৌক্তিক নয়।”
আরো পড়ুন: গ্রিসের কঠোর অভিবাসন নীতিতে বিক্ষুব্ধ শরণার্থীরা
অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইওএম-এর গ্রিস মিশন প্রধান জিয়ানলুকা রোকো আশা করছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারবে।
তিনি বলেন, “সংকটটি একসঙ্গে এবং সম্মিলিতভাবে সমাধান করা প্রয়োজন।”
টিএম/এমএইউ (এপি)