ইংলিশ চ্যানেল জুড়ে ইরাকি অভিবাসীদের পাচারের অভিযোগে তিন নারী ও চার পুরুষের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিচার প্রক্রিয়া যুক্তরাজ্যের আদালতে শুরু হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে ইরাকি অভিবাসীদের পাচারে সহায়তার অভিযোগ রয়েছে।
১৭ মার্চ, বুধবার, অভিযুক্তরা যুক্তরাজ্যের লিসেস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়েছেন।
সাতজনের মধ্যে যুক্তরাজ্যের মিডল্যান্ডস এবং ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার এলাকায় বসবাসরত তিন নারী এবং চারজন পুরুষ রয়েছেন। তারা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংক্ষিপ্ত শুনানিতে স্বতন্ত্রভাবে হাজির হন।
তবে একই অপরাধে অভিযুক্ত অষ্টম আসামির আদালতে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত হননি।
আরও পড়ুন>> যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ‘অবৈধ’ অভিবাসন বিলের অনুমোদন
মামলার প্রসিকিউটর এমা ল্যান্ট শুনানিতে আদালতকে বলেন, “এটি একটি প্রমাণযোগ্য বিষয়। অবিলম্বে মামলাটি ক্রাউন কোর্টে পাঠানো উচিত।”
আদালতের বেঞ্চে থাকা ম্যাজিস্ট্রেট নর্মা বারফোর্ড বলেন, “অধিকতর বিচারের জন্য মামলাটি ক্রাউন কোর্টে পাঠানো হচ্ছে। আমরা এখানে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এটি শুনতে অপারগ। আগামী ২৬ জুন লিসেস্টার ক্রাউন কোর্টে এই মামলার শুনানি হবে। আপনাদের অবশ্যই সেই তারিখে উপস্থিত হতে হবে।”
পড়ুন>> ৪৫ হাজার মৌসুমী কৃষিকর্মী ভিসা দেবে যুক্তরাজ্য
অভিযুক্ত সাতজনকে পরবর্তী তারিখে আদালতে হাজিরা না হওয়া পর্যন্ত নিঃশর্ত জামিন দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্তদের একজন ব্যতীত বাকি সকলের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৩১ মে থেকে ৩০ জুনের মধ্যে একজন অ-ইউরোপীয় ব্যক্তির সহায়তায় যুক্তরাজ্যের অভিবাসন আইন লঙ্ঘনকে সহজতর করার করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অপরদিকে, এক আসামী একই অপরাধ ২০১৮ সালের ১ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর সংগঠিত করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন>> গল্পের শেষটা সুন্দর হোক, প্রত্যাশা ইয়োনাসের
অনুপস্থিত থাকা এক আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। হাজির হওয়া আসামীদের আদালতের সামনে কোনো বিস্তারিত তথ্য দিতে বলা হয় নি। শুনানির সময় অভিযুক্ত অপরাধের কোনো বিবরণও দেওয়া হয়নি।
২০২২ সালে অনিয়মিত উপায়ে ব্রিটেনে প্রবেশ করেছে ৫৪ হাজার অনিয়মিত অভিবাসী। যাদের প্রায় ৮৪ শতাংশ অর্থাৎ ৪৫ হাজারেরও বেশি অনিয়মিত অভিবাসী ছোট নৌকায় যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছেন।
পড়ুন>> নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়া অভিবাসীদের সংখ্যায় ভারতীয়রা দ্বিতীয়
চ্যানেলজুড়ে ছোট নৌকায় আগত আশ্রয়প্রার্থীদের প্রবেশে বাধা দিতে গত মাসে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ‘অবৈধ’ অভিবাসন বিলের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এ সময় ছোট নৌকায় অনিয়মিত অভিবাসীদের আগমন বন্ধ করাকে পাঁচটি প্রধান অগ্রাধিকারের মধ্যে একটি বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক৷ অবৈধ অভিবাসন বিলের অর্থ হলো, ছোট নৌকায় যুক্তরাজ্যে এসে পৌঁছালে তাকে আশ্রয়ের দাবি থেকে বিরত রাখা হবে৷ তাদের নিজের দেশে বা তথাকথিত নিরাপদ তৃতীয় দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
এমএইউ/এআই (ডেইলি মেইল ইউকে, বিবিসি)