গ্রিস: পুশব্যাক ভিডিওর তীব্র নিন্দা, কতটা প্রভাব নির্বাচনে?
অভিবাসন নীতি নিয়ে আবারো চাপের মুখে গ্রিস সরকার৷ অভিবাসীদের এজিয়ান সাগরে ফেলে রেখে গ্রিক উপকূলরক্ষীদের চলে যাওয়ার একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশের পরই ফের গ্রিসের অভিবাসন নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
অভিবাসন নীতি নিয়ে আবারো চাপের মুখে গ্রিস সরকার৷ অভিবাসীদের এজিয়ান সাগরে ফেলে রেখে গ্রিক উপকূলরক্ষীদের চলে যাওয়ার একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশের পরই ফের গ্রিসের অভিবাসন নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বুধবার (১০ মে) গ্রিসের সীমান্তরক্ষী বাহিনী তুরস্ক সীমান্তলাগোয়া এলাকা থেকে ১৭ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে৷ তাদের মধ্যে আট শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷
৩৯ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে বুধবার গ্রিক কর্তৃপক্ষ তুরস্কলাগোয়া সীমান্তের একটি দ্বীপ থেকে উদ্ধার করেছে৷ মানবপাচারকারীরা তাদের সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন তারা৷
গ্রিসে এক সড়ক দুর্ঘটনায় চার জন অভিবাসীসহ মোট ছয় জন মারা গেছেন৷ গ্রিস-তুরস্ক সীমান্তের কাছে শনিবার একটি ভ্যান ও একটি এসইউভির মুখোমুখি সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে৷
একটি মানবপাচারকারী চক্রকে ভেঙে দিয়ে দলটির পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে গ্রিক পুলিশ। চক্রটির প্রধান হোতা সন্দেহে এই পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিন্তু তাদের পরিচয় এবং জাতীয়তা সম্পর্কে এখনও কোনো তথ্য দেয়া হয়নি।
অভিভাবক কিংবা সঙ্গীহীন অভিবাসী শিশুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি গ্রিসে। বর্তমানে দুই হাজারের বেশি সঙ্গীহীন অপ্রাপ্তবয়স্কদের আশ্রয় দিচ্ছে দেশটি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে, আফগান শরণার্থীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে সঙ্গীহীন শিশুদের সংখ্যাও বেড়েছে।
নিজদের সমুদ্রসীমায় নিরাপত্তা জোরদার করতে উপকূলরক্ষীদের জন্য টহল জাহাজ কিনছে গ্রিস। এ জন্য এক কোটি ৮৫ লাখ ইউরো অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সরকার।
ইটালির দক্ষিণ উপকূলে নৌকাডুবির শোক না কাটতেই, এবার তুরস্কের উপকূলে ডুবে গেছে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দুটি নৌকা। এখন পর্যন্ত ৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধারের পাশাপাশি চারটি মরদেহ উদ্ধার করেছে তুরস্কের উপকূলরক্ষীরা।
গত ছয় বছরে অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থীদের অন্তত ২২ লাখ ইউরো সমপরিমাণ অর্থ ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে গ্রিক সীমান্ত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে৷ তুর্কি সীমান্ত দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জোর করে ফেরত পাঠানোর সময় তারা এই অর্থ ছিনিয়ে নেয় বলে জানিয়েছ স্প্যানিশ দৈনিক এল পাইস৷
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে ইউরোপমুখী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল শুরু হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছে গ্রিস৷ তাই অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে নিজেদের সীমান্ত জোরদার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে গ্রিক কর্তৃপক্ষ৷
তুরস্ক সীমান্তে গ্রিসের ৩৫ কিলোমিটার লম্বা একটি বেড়া রয়েছে৷ এই সীমান্ত প্রাচীর আরো একটু প্রসারিত করতে চায় দেশটি৷ গ্রিসের নাগরিক সুরক্ষা মন্ত্রী টাকিস থিওডোরিকাকোস রোববার নিউজ চ্যানেল স্কাইকে এ কথা জানান৷
গ্রিক দ্বীপ লেসবসে এখন আর অভিবাসীদের ভিড় নেই। এরপরেও বিপজ্জনক যাত্রা পেরিয়ে যারা আসছেন তাদের লক্ষ্য, দ্রুত পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এনজিও এর সহায়তায় মাভ্রোউনি শরণার্থী শিবিরে জায়গা করে নেয়া। ইনফোমাইগ্রেন্টসের বিশেষ প্রতিনিধি শার্লত ওবেরতির প্রতিবেদন।