লিবিয়ায় অভিবাসীদের ‘গণকবর’ অনুসন্ধানে জাতিসংঘ
লিবিয়ায় অভিবাসীদের গণকবর থাকার সত্যতা যাচাই করে দেখছে জাতিসংঘ৷ সেই সঙ্গে দেশটিতে অভিবাসীদের ধর্ষণ, হত্যা এবং নির্যাতনের অভিযোগও খতিয়ে দেখছে সংস্থাটি৷ সোমবার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে৷
লিবিয়ায় অভিবাসীদের গণকবর থাকার সত্যতা যাচাই করে দেখছে জাতিসংঘ৷ সেই সঙ্গে দেশটিতে অভিবাসীদের ধর্ষণ, হত্যা এবং নির্যাতনের অভিযোগও খতিয়ে দেখছে সংস্থাটি৷ সোমবার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে৷
ত্রিপোলির ইউএনএইচসিআর কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী শিবির করে তিন মাস ধরে আন্দোলন করা অভিবাসীদের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছিলেন ইয়াম্বিও ডেভিড অলিভার এবং হাসান জাকারিয়া। গত রোববার ৯ জানুয়ারি আন্দোলনরতদের উচ্ছেদের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংবাদ ছড়িয়ে দেয়া এই দুই অভিবাসীকে খুঁজছে লিবিয়া পুলিশ।
কোনো প্রকার আইনি পদ্ধতি অনুসরণ না করে এক মাসে প্রায় ত্রিশজন সুদানি অভিবাসীকে লিবিয়া থেকে সাহারা মরুভূমিতে পুশব্যাক বা ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ৷ সুদানি নাগরিকদের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকে আসা অভিবাসীরাও এমন পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ৷
অভিবাসনপ্রত্যাশী ‘আসান’ কে লিবিয়ার উপকূলরক্ষীরা সমুদ্রে থেকে আটক করে লিবিয়ায় দেরত নিয়ে আসেন। জউইয়া বন্দরে পৌঁছে তাকে এই অঞ্চলের একটি গোপন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি মিলিশিয়াদের হাতে সহিংসতার শিকার হন। পড়ুন ইনফোমাইগ্রেন্টসের বিশেষ সাক্ষাৎকার।
১২ জন শরণার্থীসহ ৪২জন অভিবাসীর একটি দলকে তুরস্কের এদির্ন প্রদেশে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে তুর্কি পুলিশ। মূলত এই অভিবাসীদের গ্রিস থেকে তুরস্কে পুশব্যাক করার সময় গ্রিক কর্তৃপক্ষ তাদের সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় ফেরত পাঠায়। এই কাজ গ্রিক কর্তৃপক্ষ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত করে থাকে।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে শারা আল জাওয়াইয়া আটক কেন্দ্রে বন্দি অভিবাসী কিশোরীদের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে লিবিয়ার নিরাপত্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে৷