ইস্তাম্বুলে এক টুকরো সিরিয়া ‘ইয়োলো’ ক্যাফে
তুরস্কের শহর ইস্তাম্বুলের একটি রেস্তোরাঁ ইয়োলো ক্যাফে৷ যা রেস্তোরাঁ পরিচয় ছাপিয়ে পরিণত হয়েছে ওই দেশে আশ্রয় নেওয়া সিরীয় অভিবাসীদের সংস্কৃতি কেন্দ্রে৷
তুরস্কের শহর ইস্তাম্বুলের একটি রেস্তোরাঁ ইয়োলো ক্যাফে৷ যা রেস্তোরাঁ পরিচয় ছাপিয়ে পরিণত হয়েছে ওই দেশে আশ্রয় নেওয়া সিরীয় অভিবাসীদের সংস্কৃতি কেন্দ্রে৷
২০১৮ সাল থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের স্বাগত জানাচ্ছে এক হাজার ৯০০ বাসিন্দার ফরাসি গ্রাম লুজি। আশ্রয় আবেদন চলাকালে অস্থায়ীভাবে আশ্রয়প্রার্থী গ্রহণের এই উদ্যোগের পাঁচ বছর পর, সেন্ট্রাল ফ্রান্সের এই গ্রামটির অতীতের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোন অনুশোচনা নেই। শ্রমিক সংকট ও মূল শহর থেকে বেশ দূরে অবস্থিত হওয়ায় এই গ্রামটি আশ্রয়প্রার্থীদের ‘ইন্টিগ্রেশন’ নিয়ে এক প্রকার বাজি ধরেছিল।
যুক্তরাজ্য সরকারের বিতর্কিত অভিবাসন নীতির সমালোচনা করে দেশটির সংবাদ মাধ্যম বিবিসির চাকরি হারিয়েছিলেন সাবেক ফুটবল তারকা গ্যারি লিনেকার৷ তাতে সমালোচিত হয়েছিল সংবাদমাধ্যমটি৷
অভিবাসন ইস্যুতে গ্রিস কঠোর নীতি গ্রহণের প্রতিবাদে সরব হয়েছে দেশটিতে অবস্থানরত শত শত শরণার্থী৷ এমনকি দেশটির সরকার পুশব্যাক বা জোর করে ফেরত পাঠানোর মাধ্যমে আশ্রয়প্রার্থীদের ‘হত্যা‘ করেছ বলেও অভিযোগ করেছেন তারা৷
গত ছয় বছরে অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থীদের অন্তত ২২ লাখ ইউরো সমপরিমাণ অর্থ ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে গ্রিক সীমান্ত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে৷ তুর্কি সীমান্ত দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জোর করে ফেরত পাঠানোর সময় তারা এই অর্থ ছিনিয়ে নেয় বলে জানিয়েছ স্প্যানিশ দৈনিক এল পাইস৷
জার্মানিতে শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয়কেন্দ্রে হামলার সংখ্যা বাড়ছে৷ ২০২২ সালে দেশজুড়ে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে মোট হামলার সংখ্যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে জানা গেছে৷
ভয়াবহ ভূমিকম্প ও ধ্বংসযজ্ঞের কারণে তুরস্ক ছেড়ে নিজ দেশ সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ফিরে গেছেন প্রায় ৪০ হাজার সিরীয় শরণার্থী।
উন্নত জীবনের স্বপ্নে ইটালির উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন অভিবাসীরা। কিন্তু তাদের যাত্রা থেমে গেছে সমুদ্রে৷ ইটালির উপকূলে রোববারের দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৭ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে৷
২০২২ সালে বলকান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছয়টি দেশে তিন লাখের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী পা রেখেছেন৷ তাদের মধ্যে অন্যতম শীর্ষে আছেন বাংলাদেশিরা৷ ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে৷
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে গত এক বছরে অন্তত ৮০ লাখ ইউক্রেনীয় শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। কিন্তু এসব শরণার্থীদের বেশিরভাগই নিজ দেশ ইউক্রেনে ফিরে যেতে চান৷ যদিও যুদ্ধের ভয় তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাদের৷ জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে৷
পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে লিবিয়ায় কারাগারে আটক তিন অপ্রাপ্তবয়স্কসহ অন্তত ২২ সিরীয় অভিবাসী নিজেদের মুক্তির দাবিতে অনশন কর্মসূচি শুরু করছেন৷
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় দশ লাখ অভিবাসী গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে আশ্রয় আবেদন করেছেন, যা ২০১৬ সালের পরে সর্বোচ্চ৷ সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ আশ্রয় আবেদনের রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশিরাও৷