সেন্ট্রাল ফ্রান্সের লুজি গ্রামে কয়েকজন আফগান আশ্রয়প্রার্থী। ছবি :রোমা ফিলিপ/ইনফোমাইগ্রেন্টস
সেন্ট্রাল ফ্রান্সের লুজি গ্রামে কয়েকজন আফগান আশ্রয়প্রার্থী। ছবি :রোমা ফিলিপ/ইনফোমাইগ্রেন্টস
একদিকে দুর্ভিক্ষের কষাঘাত। নেই কোনো খাবার। অন্যদিকে, সরকারি বাহিনী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল শাবাবের মধ্যে নিয়ত সংঘর্ষ। সবমিলিয়ে প্রাণ বাঁচাতে ২০১১ সালে সোমালিয়া ছেড়েছিলেন ৩২ বছর বয়সি হাসান ওমর হুসেন।
চলতি পথে থাকে পাড়ি দিতে হয়েছে ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া, সুদানসহ বিভিন্ন দেশ। এরপর সাহারা মরুভূমিতে কেটেছে ২৫ দিন। তারপর লিবিয়ায় পা রাখলেন হাসান ওমর।
সোমালিয়ার এই নাগরিক তার হাতের কব্জিতে আছে হাতকড়ার চিহ্ন। সেটা দেখিয়ে জানালেন, লিবিয়ার কারাগারে কয়েক মাস বন্দি ছিলেন। সবশেষ, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগরের পাড়ি দিয়ে ইউরোপে আসেন। তারপর ইটালি, বেলজিয়াম ও জার্মানি হয়ে তার ঠিকানা হয় প্যারিসে।
আরও পড়ুন>> ‘আমার পরিবারকে জানান যে আমি বেঁচে আছি’
নিজের দেশে ছেড়ে ফ্রান্স পর্যন্ত পৌঁছাতেই হাসান ওমরের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে অন্তত ছয় বছর। প্যারিসে আসার আগ পর্যন্ত অনথিভুক্ত থাকায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কায়িক পরিশ্রমের কাজ করে কোনো মনে দিন কেটেছে তার।
ফ্রান্সে আসার পর রাজধানী প্যারিসের আলোচিত শহরতলি পোর্ত দ্যো লা শাপেলের ব্রিজের নিচে অস্থায়ী ক্যাম্পে দুই মাস ছিলেন তিনি। একদিন সকালে ক্যাম্পটি খালি করতে আসে পুলিশ। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় একটি জরুরি আশ্রয় কেন্দ্রে। সেখান থেকে তাকে আবার পাঠানো হয় সেন্ট্রাল ফ্রান্সের গ্রাম লুজিতে।
স্থানীয় প্রেফেকচুরের নির্দেশে এই গ্রামে আসার আগে তিনি কখনও ভাবেননি ফ্রান্সের কোনো একটি ছোট্ট গ্রামে শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হবেন।
এখন লুজির একটি গির্জার ক্যান্টিনে পাঁচকের কাজ করেন তিনি। পাশাপাশি স্থানীয় ফুটবল দলেরও সদস্য। গ্রামের প্রায় সব লোক তাকে চেনেন। সবাই তার রান্না ও ফুটবলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
ওমর হাসান বলেন, “আমার জন্য প্রথম মাসগুলো অত্যন্ত কঠিন ছিল। যখন আপনি একটি ছোটো গ্রামে নতুন আসবেন, শুরুতে আপনাকে সব সময় বাড়িতে অবস্থান করতে হবে। কী করবেন তাও জানা থাকে না।”
লুজিতে আসার পর আশ্রয়প্রার্থী থেকে শরণার্থী মর্যাদা পান তিনি। এখন নিজের ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন তিনি। তার বসার ঘরের পাচীরে একটি ফরাসি পতাকা লাগানো আছে। পাশে কয়েকটি বইসহ একটি বুক শেল্ফও রেখেছেন।
২০১৮ সালের শেষ দিকে লুজিতে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের অস্থায়ী আবাসনে চালু করা হয় একটি জরুরি আশ্রয় কাঠামো। ৬০ জন আশ্রয়প্রার্থীকে রাখার সক্ষমতা রয়েছে এই কেন্দ্রে। শুরু থেকেই এখানে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের বেশিরভাগই সিরিয়া, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের নাগরিক।
জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রটির পরিচালক আন পেতিবোয়া বলেন, “এ পর্যন্ত এই কেন্দ্রে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে অত্যন্ত ৫০ শতাংশ ব্যক্তি শরণার্থী মর্যাদা বা রিফিউজি স্ট্যাটাস পেয়েছেন।”
কেন্দ্রটি চালুর আগে তা পরিচালনায় দরপত্রেআহ্বান করেছিল সরকার। দরপত্রে জিতে নেয় সেক্যুলার ওয়ার্কস ফেডারেশন। পরে প্রকল্পের অভ্যর্থনা কেন্দ্রের দায়িত্বও বর্তায় সংস্থাটির কাঁধে। প্রতিদিন চারজন আশ্রয়প্রার্থীকে প্রশাসনিক পদ্ধতি এবং অন্যান্য বিষয়ে সহায়তা করে তারা।
পড়ুন>> লিবিয়ার ‘দাস’ থেকে ইটালির সামাজকর্মী ইয়াও
আন পেতিবোয়ার মতে, “তাদের জন্য সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল আশ্রয় আবেদন পর্যন্ত অপেক্ষা করা। যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের কাছে তাদের ভবিষ্যৎ প্রশাসনিক অবস্থার উত্তর না থাকে, ততক্ষণ তারা কী করবেন, সেটা ঠিক করাটা কঠিন হয়ে পড়ে।”
লুজি গ্রামের একটি প্রান্তে আশ্রয়কেন্দ্রটির অবস্থান। যতদূর চোখ যায় অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। আর চারপাশে মাঠ দিয়ে ঘেরা কেন্দ্রটি। অস্থির সময় ছেড়ে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য একটি স্নিগ্ধ সময় উপহার দেয় লুজি গ্রাম ও এই আশ্রয়কেন্দ্র।
তালেবান কাবুল দখলের পর স্বামী ও তার মেয়েকে নিয়ে দেশ ছাড়েন সামিরা নবীজাদা। ফ্রান্সে আসার পর ফরাসি আশ্রয় কর্তৃপক্ষ তাদেরকে লুজি গ্রামে স্থানান্তর করেন। এখানেই তিনি তার কনিষ্ঠ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। যার বয়স এখন দুই মাস।
সামিরা বলেন, “আফগানিস্তানে কাটানো শেষ মুহূর্তগুলো আমাদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল। এমন একটি জায়গা দরকার ছিল, যেখানে আমরা নিরাপদ থাকতে পারি। এখন আর রাতে আমরা গুলি, বোমার বা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই না। লুজি আমাদের জন্য উপযুক্ত জায়গা।”
লুজির বাগানে ক্রিকেট খেলতে দেখা যায় একদল তরুণ আফগানদের। সময় কাটানোর জন্য তারা ক্রিকেট খেলা পছন্দ করেন। কারণ আফগানিস্তানেও বেশ জনপ্রিয় খেলা এই ক্রিকেট।
ক্রিকেট ব্যাট হাতে নিয়ে অন্যদের সঙ্গে খেলায় যোগ দেওয়ার আগে কথা হয় আফগান তরুণ নাঈমের সঙ্গে। মাস তিনেক হয় এখানে এসেছেন তিনি। ইংরেজিতে নাঈম বলেন, “এখানে এসে স্বস্তি পেয়েছি। কারণ, এটি একটি নিরাপদ জায়গা।”
এখানে আসার আগে প্যারিসের উত্তরে পোর্ত দ্যো লা শাপেলের ব্রিজের নিচে তীব্র শীতে রাত কাটিয়েছেন নাঈম। তিনি বলেন, “ওটি বিপজ্জনক এবং খুব ঠান্ডা ছিল। কিন্তু এখানকার লোকেরা অবিশ্বাস্যভাবে সুন্দর।”
আরও পড়ুন>> স্বচ্ছলতা ফেরাতে কেদার দুই বছরের যাত্রা
আশ্রয়প্রার্থী দম্পতি মাহমুদ এবং হেবা আল-আলুসি বলেন, ”আমরা এক প্রকার জীবন হাতে নিয়ে সিরিয়া ত্যাগ করেছিলাম।”
একমাত্র ছেলেকে নিয়ে সিরিয়া থেকে ফ্রান্সে আসা এই দম্পতি মাত্র এক সপ্তাহ আগে শরণার্থী মর্যাদা পেয়েছেন।
মাহমুদ বলেন, “এখানে আপনার কোনো সমস্যা হলে রাস্তায় যে কেউ আপনাকে সাহায্য করতে বা আপনার ভুল ফরাসি সংশোধন করে সহায়তা করতে এগিয়ে আসে।
এই দম্পতির মতে, এখনে তারা এমন অভ্যর্থনা পেয়েছে যা আগে কল্পনা করতে পারেননি।
শুরু থেকেই অভিবাসীদের স্বাগত জানাতে গ্রামবাসীকে সংগঠিত করেছে গ্রাম কর্তৃপক্ষ। তেমনই একটি সংগঠন ‘লুজি হসপিটালিটি’। সংস্থাটি প্রতি সপ্তাহে কর্মশালার আয়োজন করে। যেখানে অভিবাসীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের পরিচিত হতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এরকম একটি কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে ইনফোমাইগ্রেন্টস।
দুই সন্তান নিয়ে আসা বাংলাদেশি নারী নয়ন এবং কঙ্গোর নারী লিলি এখানে নিয়মিত আসেন। তবে দুই আফগান আশ্রয়প্রার্থী ফিদাহ এবং ওমির জন্য এটি প্রথম। তাদের কেউই একই ভাষায় কথা না বললেও কয়েকটি ফরাসি শব্দের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হন।
সাবেক অভিবাসন কর্মী জঁ দোলে বলেন, “আমাদের ভূমিকা অভিবাসীদের সামাজিকীকরণে কাজ করা। কারণ আমরা জানি এটি কঠিন।”
অন্যান্য আরও কয়েকটি সংস্থা যেমন লা কাসবাহ এবং সিনি কোয়াও স্থানীয় নাগরিক এবং অভিবাসীদের মধ্যে সাক্ষাৎতের জন্য সন্ধ্যার আয়োজন করে থাকে।
জঁ দোলে আরও বলেন, “কখনও কখনও অভিবাসীরা তাদের দেশের গান বা নাচ আমাদের দেখায়। এটি সত্যিই সবার সঙ্গে একটি সুন্দর ভাব বিনিময়ের মাধ্যম। এমনকি আশেপাশের গ্রামের অনেক বাসিন্দারাও এসব আয়োজনে যোগ দেন।
আরও পড়ুন>> তুরস্ক থেকে ইরানে ‘ডিপোর্ট’; বাংলাদেশি অভিবাসীর নির্যাতনের গল্প
তিনি জানান, সপ্তাহে দুই দিন গ্রামের স্কুলের একটি কক্ষে স্বেচ্ছাসেবকদের সাহায্যে ফরাসি পাঠেরও আয়োজন করা হয়।
এই ছোট গ্রামের জন্যেও অভিবাসীরা একটি বড় সম্পদ। গ্রামের মেয়র ইতিমধ্যে ২০১৪ সাল থেকে অভিবাসীদের জন্য লুজিকে স্বাগত ভূমি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।
আশ্রয়কেন্দ্রের পরিচালক আন পেতিবোয়ার মতে, “মানবিক দিক ছাড়াও, আশ্রয়প্রার্থীদের অভ্যর্থনা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের জন্য একটি মূল্যবান সম্পদক। কারণ এখানকার জনসংখ্যা ৪০ বছর ধরে হ্রাস পাচ্ছে।”
লুজির মেয়র জোসেলা গেরা বলেন, “যে ভবনটিতে আশ্রয়প্রার্থীদের রাখা হয়েছে, সেটি ভেঙে ফেলার কথা ছিল। আশ্রয়প্রার্থীদের অভ্যর্থনার জানাতে শেষ পর্যন্ত এটি সংস্কার করা হয়েছিল। অভিবাসী পরিবারের শিশুদের স্বাগত জানাতে আমাদের স্কুলগুলোতে কর্মী বাড়ানো হয়েছে। নতুন আসা যুবক শরণার্থীদের জন্যেও অনেক চাকরি আছে। অনেকদিন ধরে বেশ কিছু চাকরিতে কর্মী সংকট ছিল।”
শরণার্থী হাসান যখন চাকরির উদ্দেশ্যে লুজির বিভিন্ন জায়গায় তার জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছিলেন, তার কয়েকদিন পরই অনেক উত্তর আসতে থাকে।
হাসান বলেন, “দুই সপ্তাহ পরে হোটেল, ক্রেপের রেস্তোরাঁ, তামাকের দোকান এবং একটি করাতকল বা স মিল থেকে আমাকে ফোন দেয়া হয়েছিম।”
হাসানের সাথে কর্মরত ক্রিস্টিন ওলেভাল-চিরি নিশ্চিত করেছেন, “আমরা অনেক দিন ধরে একজন বাবুর্চি খুঁজছিলাম। আমরা এখনও বেশ কিছু লোক খুঁজছি।”
যারা এখনও তাদের নিয়মিতকরণ বা আশ্রয় আবেদনের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদেরকে আপাতত স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের জন্য বিনামূল্যে স্থানীয় পৌরসভার সুইমিং পুলে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়।
এসবের মূলে রয়েছে, অভিবাসীরা যেন সমাজে খাপ খাওয়াতে পারে এবং ইন্টিগ্রেশন সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারে।
আশ্রয়কেন্দ্রে অস্থায়ীভাবে অবস্থান করা এমন অনেক লোক বর্তমানে লুজিতে নতুন জীবন গড়ে তুলেছেন। তারা অবশ্য ব্যতিক্রম।
এখানে যেসব চাকরি পাওয়া যায় সেগুলো প্রায়শই কম-দক্ষ অথবা উদ্বাস্তুদের প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয় না। আবার কখনও কখনও এটি কঠিন কাজ হয়। নির্মাণ কাজে নিযুক্ত আফগান নাগরিক রেজা ২০১৮ সালে লুজিতে এসেছিলেন।
তিনি জানান, “আমি তরুণ, তাই এই কঠিন কাজটি করতে পারছি। তবে লম্বা সময় ধরে এটা করা সম্ভব নয়।”
তিনি বলেন, “আমি মনে করি না আমি সারা জীবন লুজিতে থাকব। আমি রাজমিস্ত্রির চেয়ে কম কঠিন কাজ খুঁজে পেতে একটি বড় শহরের কাছাকাছি যাওয়ার কথা ভাবছি।”
এমন আরেকটি পরিবার আল-আলুসি দম্পতি। তারা শহর থেকে বেশ দূরের এই গ্রামটি ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পরিবারের প্রধান মাহমুদ বলেন, “আমার স্ত্রী সিরিয়ায় আইন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। সে সেটি আবার শুরু করতে চায় এবং আমি মানবাধিকার সেক্টরে চাকরি করতে চাই। এখানে এটা সম্ভব নয় এবং ভালো গণপরিবহন ছাড়া এটি বেশ জটিল।”
আরও পড়ুন>> “আমার স্বপ্ন ছিল, আশা ছিল”
এখানে আসা অভিবাসীদের ফরাসি পাঠের জন্য লুজি থেকে ট্রেনে প্রায় দেড় ঘন্টা দূরে অবস্থিত নেভের শহরে যেতে হয়।
মাহমুদ বলেন, “কখনও কখনও ট্রেনে লুজিতে ফিরতে আপনাকে দুই বা তিন ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে।”
আফগান নারী সামিরা নবীজাদারও একই মত দেন। তার মতে, “এখানে কোন বিশ্ববিদ্যালয় নেই, যার কারণে আমরা আমাদের ক্যারিয়ারের গঠনে উচ্চ শিক্ষা নিতে পারছি না।”
আশ্রয়প্রার্থীদের শরণার্থী মর্যাদা প্রাপ্তির আগে অস্থায়ীভাবে রাখতে লুজির এই প্রকল্পটি আজ সফল হলেও এটি চালু করার আগে বেশ সমস্যা তৈরি হয়েছিল।
অন্যান্য ফরাসি শহরের মতো এখানকার বাসিন্দারাও সেই সময় উদ্বিগ্ন ছিল। ২০১৮ সালে মেয়রের ডাকা অনেক সভায় স্থানীয়রা গণ্ডগোল করে সভা বানচাল করেছিলেন।
তবে বর্তমান চিত্র নিয়ে বেশ আনন্দিত গ্রামের মেয়র। কয়েকটি শহরের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “অনেক শহর কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এটি স্বাভাবিক। যখন আপনার এই ধরনের প্রকল্প থাকবে তখন আপনাকে সমস্ত অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে এটিকে শক্তভাবে প্রস্তুত করতে হবে। সেখানে কোনো ত্রুটি রাখা উচিত নয়।”
মূল ওয়েবডকটি ফরাসিতে তৈরি করেছেন ইনফোমাইগ্রেন্টস সাংবাদিক রোমা ফিলিপস। ফরাসি থেকে ভাষান্তর করেছেন মোহাম্মদ আরিফ উল্লাহ।
এমএইউ/টিএম